ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইদহে অবৈধ ইটভাঁটিতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ

প্রকাশিত: ০০:৪৫, ২৪ মার্চ ২০২৪

ঝিনাইদহে অবৈধ ইটভাঁটিতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ

হরিনাকুণ্ডু উপজেলায় গড়ে তোলা ইটভাটি

হরিণাকুন্ডু উপজেলায় জেলা ইটভাঁটি মালিক সমিতির তদবিরে চলছে অবৈধ ইটভাঁটি। ইটভাঁটিগুলোতে কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। বছরে দুই-একবার পরিবেশ অধিদপ্তর নামমাত্র অভিযান চালিয়ে সামান্য কিছু জরিমানা করলেও সেগুলো পরবর্তীতে আবার চালু হয়ে যায়। আর হরিণাকুন্ডুতে যতগুলো অবৈধ ইটভাঁটি রয়েছে সবই বিভিন্নভাবে তদ্বির করে অনৈতিক উপায়ে পরিচালনা করছে ইটভাঁটি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হান্নান আলী খাঁ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরিণাকুন্ডু উপজেলায় মোট ১৮টি ইটভাঁটি রয়েছে। যার মধ্যে চাঁদপুর ইউনিয়নে ১ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে গড়ে উঠেছে ৫টি অবৈধ ইটভাঁটি। সড়কের পাশে ফসলি জমি ঘেঁষে হরিণাকুন্ডু উপজেলা ইটভাঁটি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হান্নান আলী খাঁর এমএসবি ব্রিকস, বাবুল হোসেন খানের আরএসবি ব্রিকস, আলমগীর হোসেনের আনিশা এন্ড তানিশা ব্রিকস, শিতেলী পাড়া হাকিমপুর এলাকায় মিলন এন্ড জান্নাত ব্রিকস, পারমথুরাপুর এলাকায় এ.জে.বি ব্রিকস নামে ইটভাঁটি রয়েছে। যেগুলোর অধিকাংশেরই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স। তবুও অবৈধ ইটভাঁটির ব্যবসা চলছে রমরমা। 
এম.এস.বি ইটভাঁটি ঘুরে দেখা যায়, আম, জাম, রেইনট্রি, কদম, কাঁঠাল, খেজুর, নারকেলসহ সবুজ বনায়ন ধ্বংস করে শত শত মণ বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছের কাঠ মজুত করা হয়েছে। কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে বাঁশের মোথা ও খেজুর গাছসহ অন্যান্য জ্বালানি কাঠ। ফলে চুল্লি থেকে অনবরত বের হচ্ছে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। এ ছাড়াও ফসলি জমির টপসয়েল কেটে স্তূপ করা হয়েছে। 
এম.এস.বি ইটভাঁটির পাশে বসবাসরত আব্দুর রাজ্জাক জানান, এই ইটভাঁটিতে দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা গাছের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। যার কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হচ্ছে চারপাশ। 
হরিণাকুন্ডু ইটভাঁটি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হান্নান আলী খাঁ বলেন, শুধু ঝিনাইদহে না সারাদেশেই অবৈধ উপায়ে ইটভাঁটি পরিচালিত হচ্ছে। আপনারা পারলে ইটভাঁটি বন্ধ করে দেন। আমি এই বিষয়ে ফোনে কোনো বক্তব্য দিতে পারব না। ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমান জানান, হরিণাকুন্ডু উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ৮টি ভাঁটিকে ২১ লাখ টাকা জরিমানা করেছি এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, হরিণাকুন্ডু উপজেলায় মোট ১৮টি ইটভাঁটি রয়েছে যাদের কারোরই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই।

×