ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সপ্তম সাঙ্গু সেতু বদলে দেবে কৃষি ও পর্যটন শিল্প

সংবাদদাতা, বান্দরবান

প্রকাশিত: ২২:৪০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সপ্তম সাঙ্গু সেতু বদলে দেবে কৃষি ও পর্যটন শিল্প

থানচি উপজেলার সাঙ্গু নদীর ওপরে নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন সপ্তম সেতু

থানচি উপজেলার সাঙ্গু নদীর ওপরে নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন সপ্তম সেতু বদলে দেবে কৃষি ও পর্যটন শিল্পকে। এই সেতুটি  পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি বলিপাড়া থেকে হালিরাম পাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া অভ্যন্তরীণ সংযোগ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যুক্ত করবে নতুন এক মাত্রা। 
প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২০ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে থানচি উপজেলার বলিপাড়া এলাকায় সাঙ্গু নদীর ওপরে সপ্তম সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় গত ২০১৯ সালে। সেতুর রেমসহ ২৫৩ মিটার নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের জুন মাসে। তবে বর্তমানে এই সেতুটির এপ্রোচ সড়ক এবং রেমের কাজ চলমান রয়েছে। অপরদিকে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে হালিরাম পাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া চার কিলোমিটার সড়কসহ হালিরাম পাড়া খালের ওপরে ছোট আরও দুটি সেতু নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। 
স্থানীয় বাসিন্দা চসেসিং মারমা ও থোয়াইচা মং মারমা জানান, থানচি বলিপাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া নবনির্মিত সড়কটি আশপাশে ১৫টি পাহাড়ি গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এ সড়কটি চালু হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পিছিয়ে পড়া পাহাড়ি গ্রামগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আসবে। পাশাপাশি বদলে যাবে কৃষি ও পর্যটন শিল্প। পাহাড়ি কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাতকরণের পথ তৈরি হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে পাহাড়ি গ্রামের জনসাধারণ। দ্রুত কাজটি শেষ করে সড়কটি চালুর দাবি জানান তারা।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং বলেন, বলিপাড়া হালিরামপাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া সড়কটি অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সড়কটি চালু হলে বদলে যাবে থানচি উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের পাহাড়িদের জীবনযাত্রা এবং বিকশিত পর্যটন শিল্প।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত জনকণ্ঠকে বলেন, বলিপাড়া এলাকায় নির্মিত সেতুটি হচ্ছে সাঙ্গু নদীর ওপরে নির্মিত সপ্তম সেতু। পর্যটন শিল্পের বিকাশে সেতুটি আকর্ষণীয় ডিজাইন দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হচ্ছে। এটি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুরের অগ্রাধিকার প্রকল্প ছিল। সেতু ও সড়ক নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব দ্রুত সেতুসহ সড়কটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

×