ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে ফারুক চৌধুরীর বিপরীতে তিন নারী

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজশাহীতে ফারুক চৌধুরীর বিপরীতে তিন নারী

রাজশাহী-১ আসনের তিন প্রার্থী

আইনি লড়াই শেষে অবশেষে রাজশাহী-১ আসনে ভোটের মাঠে ফিরলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া। উচ্চ আদালতের আদেশ পাওয়ার পর সোমবার সকালে রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের নিকট থেকে বেলুন প্রতীক বরাদ্দ পান। এর পর পরই ভোটের মাঠে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েন তিনি। 
আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সহধর্মিণী। এ নিয়ে রাজশাহীর এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন তিনজন। এ ছাড়া বিভিন্ন দলের আরও প্রার্থী রয়েছে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়ালেন চারজনে। এরা হলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী, আয়েশা আখতার ডালিয়া, গোলাম রাব্বানী ও আখতারুজ্জামান। এরা সবাই আওয়ামী লীগের হলেও স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন। এদের বিপরীতে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত তিনবারের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।
গত ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী রিটার্নিং অফিসার শামীম আহমেদ তথ্যে গরমিল থাকায় ডালিয়ার প্রার্থিতা বাতিল করে দেন। গত ১৫ ডিসেম্বর ইসির আপিল শুনানিতেও তার প্রার্থিতা বাতিল বহাল রাখে। পরে উচ্চ আদালতের আপিল শুনানিতে রবিবার  তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। প্রতীক পাওয়ার পর আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। অবশেষে আমি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। এ ছাড়া এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুদ্দিন মন্ডল, এনপিপির নুরুন্নেসা, বিএনএমের প্রার্থী শামসুজ্জোহা বাবু, তৃণমূল বিএনপির জামাল খান দুদু, বিএনএফের আল-সাআদ ও মুক্তিজোটের বশির আহমেদ রয়েছেন।

রূপগঞ্জে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে বিপক্ষে মুক্তিযোদ্ধারা
নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ॥ রূপগঞ্জে প্রচার করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধারের মারধরের শিকারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার দুপুরে ও বিকেলে উপজেলার মঠেরঘাট এলাকায় অবস্থিত রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি পক্ষ। দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা হাসান মাসুদ, চাঁন মিয়া, আজিুল হক, আলাউদ্দিন, আব্দুর রশিদ, আব্দুল হক, সানাউল্লাহসহ আরও মুক্তিযোদ্ধারা রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাবে অভিযোগ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা স্বতন্ত্র প্রার্থী (কেটলি) আলহাজ শাহজাহান ভুইয়ার পক্ষে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচারে যান।

সেখানে গণসংযোগ ও প্রচারকালে নৌকা প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী সমর্থিত ইউপি সদস্য শমসের আলীর নেতৃত্বে তার লোকজন মুক্তিযোদ্ধাদের বাধা দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে গণসংযোগে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধারের মারধর করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। বিকেলে অপর পক্ষের রূপগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আমান উল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন, শাহজাহান খান, আব্দুল মতিন সাউদ, জিয়াউল হক, মমতাজ উদ্দিন, আলিম উদ্দিনসহ মুক্তিযোদ্ধার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার মার্কা নৌকা। আর সেই নৌকার মাঝি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক)। 
নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীকে অপমান এবং হেয় করার জন্য মারধর ও বাধার মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। মুক্তিযোদ্ধাগণ চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করেছেন। কোথাও কেউ তাদের বাধা প্রদান করেনি। তারা কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এখন সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।  এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপঙ্কর শাহা বলেন, একটি পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনার একটি অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ভোট টানার লড়াই প্রার্থীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও ॥ পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলা নিয়ে ঠাকুরগাঁও-৩ আসন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে জাপার সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল), ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ডিএন ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় (হাতুড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী আশা মনি (ঈগল) ও বিকল্প ধারার প্রার্থী এস এম খলিলুর রহমান সরকার (কুলা) প্রতীকে নির্বাচনী প্রচার করছেন। এ আসনটি মূলত আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে খ্যাত। স্বাধীনতা উত্তর কাল থেকে এ আসনে ৬ জন প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। 
আওয়ামী লীগের এই ভোটে জাপার প্রার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী গোপাল চন্দ্র রায় ভাগ বসাতে চায়। সিংহ ভাগ ভোট সাবেক এমপি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমদাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আখতারুল ইসলামের দখলে রয়েছে। অপরদিকে রাণীশংকৈল উপজেলার আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহিদুল হক, মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি সেলিনা জাহান লিটা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহরিয়ার কবির দখলে রয়েছে। এবার গোপাল চন্দ্র রায় সংখ্যালঘুদের সিংহভাগ ভোট, ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় ভোটের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ভোটে ভাগ বসানোর জন্য কাজ করছেন। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী তার পক্ষে প্রচার শুরু করছেন।

×