ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিহিংসাবশত ছাগল হত্যা

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ৩০ নভেম্বর ২০২২

প্রতিহিংসাবশত ছাগল হত্যা

ছাগলটির মৃত্যুতে মালিক দুলাল হোসেন

লক্ষ্মীপুরে প্রতিহিংসাবশত প্রায় ৮০ হাজার টাকা মূল্যের একটি ছাগলকে হত্যা করা হয়েছে। ছাগলটির নাম ছিল টমি।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পিয়ারাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১০টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

ছাগলটির মৃত্যুতে মালিক দুলাল হোসেন ও তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। দুলাল একই গ্রামের মতিন মেম্বারের বাড়ির বাসিন্দা। ছাগলটি প্রজননের কাজে ব্যবহার করতেন। এর থেকে উপার্জন দিয়েই তার সংসার চলতো।

দুলাল জানান, তার দুটি ছাগল, একটি টমি আরেকটি লালা। বাড়ির অদূরে রাস্তার পাশেই মাচা তৈরি করে দুটি ছাগলকেই রাখতেন তিনি। ছাগলগুলো প্রজননের জন্য ব্যবহার করে আসছেন। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছাগলের প্রজননের জন্য এখানে আসেন। একই এলাকার অটোরিকশাচালক মুসলিম আহমেদেরও দুটি ছাগল আছে। কিন্তু লোকজন মুসলিমের কাছে আসে না। এতে গত পাঁচ দিন ধরে মুসলিম তার সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন।

দুলাল আরও জানান, প্রতি রাতেই দুলাল ছাগলগুলোর পাশেই ঘুমিয়ে থাকতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে তিনি স্থানীয় পিয়ারাপুর বাজারে যান। রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন একটি ছাগল মৃত অবস্থায় পড়ে আছে৷ পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরখানেক আগে মুসলিম বোম্বে মরিচ খাইয়ে দুলালের তিনটি ছাগল মেরে ফেলেছিলেন। এখন আবারও তার একটি ছাগলকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই মুসলিমকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।

দুলাল বলেন, ‘তিন বছর আগে ৩ হাজার টাকায় টমিকে কিনেছিলাম। বর্তমানে টমির বাজার মূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা ছিল। টমি ও লালাকে দিয়ে আয় করা টাকায় আমার সংসার চলতো। কিন্তু হিংসাত্মক মনোভাব থেকে আমার টমিকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।’

এদিকে ঘটনার পর থেকেই অটোরিকশাচালক মুসলিম আত্মগোপনে আছেন। ফলে বারবার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মকবুল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। ধারণা করা হচ্ছে মুখের ভেতর পলিথিন ঢুকিয়ে শ্বাসরোধে ছাগলটিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

টিএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×