ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়ি বাড়ি বার্তা পৌঁছানো হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

বাড়ি বাড়ি বার্তা পৌঁছানো হচ্ছে স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ০০:০৫, ৭ অক্টোবর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রাণ রক্ষার্থে বিজিবি জিরো পয়েন্টে সতর্কতা জারি করেছে

বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রাণ রক্ষার্থে বিজিবি জিরো পয়েন্টে সতর্কতা জারি করেছে। ওই সতর্ক বার্তা বিভিন্নভাবে পৌঁছানো হচ্ছে সীমান্তে বসবাসকারীদের বাড়িঘরে। বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের বিষয়ে বিধিনিষেধ উল্লেখ করে প্রতিটি পয়েন্টে সাইন বোর্ড টাঙিয়েছে; যাতে সীমান্তের কাছাকাছি গিয়ে মাইনের কবলে না পড়েন স্থানীয়রা।
সূত্র জানায়, মিয়ানমার সরকারের বাহিনীর সদস্যরা কথা দিয়েও কথা রাখে না। বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকে স্থল মাইন সরিয়ে নেয়ার ওয়াদা করেছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পুলিশ (বিজিপি)। ওই সময় (২০১৭ সালের ডিসেম্বর) সরিয়ে নিয়েছিল কিছু স্থল মাইন। কিন্তু পরবর্তী ২০১৮সালে সীমান্তজুড়ে ফের মাইন বসিয়েছে দেশটির সেনা বাহিনী। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ৬০কিলোমিটার পর্যন্ত স্থানে স্থল মাইন বসিয়েছে দেশটির সরকারী বাহিনীর সদস্যরা। ওইসব মাইন এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।

রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহীদের দমনের জন্য এসব মাইন বসানোর দাবি তুললেও ওই মাইন বিস্ফোরণে মারা যাচ্ছেন বিজিবি, পুলিশ, স্থানীয় নাগরিক, রোহিঙ্গা ও গৃহপালিত পশু। তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার সন্নিকটস্থ ৩৫ নম্বর পিলার থেকে টাংগারা ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় স্থল মাইন পুঁতে রেখেছে মিয়ানমার সেনারা। স্থল মাইনগুলো ৫বছর পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় করা হয়নি। ইতোপূর্বে দু’ছড়ির পাইনছড়ি ৫২নং পিলারের সন্নিকটে স্থল মাইন বিস্ফোরণে মারা যান নায়েক মিজান।

২০১৮ সালে এক পুলিশ সদস্য মারা যান ৩৫নং সীমান্ত পিলারের সন্নিকটে। ২০২২সালেও আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষ বাধার আগে স্থল মাইন বসিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাইন বিস্ফোরণে তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার উপজাতি যুবক অন্ন্যয় তংচঙ্গার ডান পা উড়ে যায়। এর পর জিরো লাইনে স্থাপিত বস্তির পাশে জঙ্গলে মাইন বিস্ফোরণে ১ রোহিঙ্গা মারা যায় এবং অপর এক রোহিঙ্গা আহত হয়।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের চেরারমাঠ ৪৪নং সীমান্ত পিলার বরাবর কাদের হোসেন নামে এক রোহিঙ্গা নেতার ডান পা উড়ে যায়। সীমান্তজুড়ে নোম্যান্স ল্যান্ডে মিয়ানমার সরকারী বাহিনী স্থল মাইন বসিয়েছে।
উখিয়া সংবাদদাতা জানিয়েছেন, তুমব্রু ৩৫ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় স্থল মাইন পুঁতে রেখেছে মিয়ানমার সেনারা। ওইসব মাইন বিস্ফোরণে দেশটির সরকারী বাহিনীর একজন সদস্যও মারা যায়নি এ পর্যন্ত। বাংলাদেশী নাগরিক ও রোহিঙ্গারা মারা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যেসব এলাকায় মাইন বসানো আছে সেসব এলাকার নক্সা টহলদলের হাতে থাকে। যার কারণে মিয়ানমার সরকারী বাহিনীর সদস্যরা মাইন বসানো স্থলে পা দেয় না কখনও।

×