স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী ট্রলারের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে দুই শিশু নিখোঁজ এবং কমপক্ষে ১০ যাত্রী আহত হয়েছে। শনিবার সকালে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ কয়লাঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সাত ঘণ্টা চেষ্টার পর ট্রলারটি উদ্ধার করতে পারলেও নিখোঁজদের সন্ধান পায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ৪০-৫০ জন যাত্রী নিয়ে সোনারগাঁওয়ের মেঘনাঘাট এলাকায় যাওয়ার পথে মদনগঞ্জ কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে তেলের খালি ড্রামভর্তি ‘আল্লাহর দান’ নামে বড় একটি ট্রলার এটিকে ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় যাত্রীরা সাঁতরে তীরে ও পাশের লঞ্চের সঙ্গে বাঁধা টায়ার ধরে রক্ষা পেলেও দুই শিশু নিখোঁজ থাকে। এ সময় আহত হয় ওই ট্রলারের কমপক্ষে ১০ যাত্রী। নিখোঁজ দুই শিশু হলো- কুমিল্লার মেঘনা থানার বড়কান্দা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে ফাহিম (৩) এবং ওই এলাকার তারেকের মেয়ে সুমাইয়া (৮)। ট্রলারডুবির খবর পেয়ে নৌপুলিশ ফাঁড়ি ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে। সাত ঘণ্টা চেষ্টার পর দুপুর আড়াইটায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ট্রলারটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ট্রলারের যাত্রীরা জানান, তারা বন্দর উপজেলার চৌধুরী এলাকার কুতুবিয়া দরবার শরীফ মাজারে উরস শেষে ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী একটি বেপরোয়া ট্রলার ধাক্কা দিলে যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে।
ঘটনার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ আনিছুর রহমান মিঞা ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক জানান, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীরা পাশের একটি লঞ্চের সঙ্গে বাঁধা টায়ার ধরে উঠতে না পারলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারত। ট্রলারডুবিতে আহত তিনজনকে ৩০ হাজার টাকা, খাবারের জন্য আরও পাঁচ হাজার টাকা এবং গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য বিকল্প ট্রলারের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: