ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

টাকা দিয়েও মেলেনি ঘর

রাণীনগরে গুচ্ছগ্রামের ঘর বরাদ্দে নয়ছয়

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ৩ এপ্রিল ২০২০

 রাণীনগরে গুচ্ছগ্রামের ঘর বরাদ্দে নয়ছয়

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২ এপ্রিল ॥ রাণীনগরে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের আওতায় নির্মিত গুচ্ছগ্রামের ঘর নিয়ে নয়ছয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যানের চাহিদা মাফিক অর্থ জোগান না দেয়ায় অনেকেই ঘর পাওয়ার যোগ্যতা রাখলেও তাদের দেয়া হয়নি ঘর। প্রতিটি ঘর বরাদ্দ দেয়ার নামে চেয়ারম্যানের পছন্দের ব্যক্তি আব্দুস সামাদ ধলুর মাধ্যমে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রায় কোটি টাকার অর্থায়নে উপজেলার ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বড়গাছা ইউনিয়নের চামটা গ্রামে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের প্রকল্প শুরু হয়। এই প্রকল্পের অধীনে ১১০টি ঘর নির্মাণ করার কথা থাকলেও জমি অধিগ্রহণে কিছু ব্যক্তি আদালতে মামলা করলে ৭০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এই গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলো নির্মাণ করা হলেও সেইসব ঘরের মধ্যে মাটি ভরাট করা, পর্যাপ্ত পরিমাণ টিউবওয়েল স্থাপন না করা, চলাচলের রাস্তা তৈরি না করা, বিদ্যুত সংযোগ না থাকাসহ অনেক কাজই এখন পর্যন্ত সম্পন্ন করা হয়নি। কিন্তু তালিকায় থাকা কিছু ভিক্ষুক পরিবারের রাত যাপনের কোন ঠাঁই না থাকায় তারা অনুমতি নিয়ে হস্তান্তরের আগেই নিজেরাই ঘরের মধ্যে মাটি ভরাট করে কোন রকম জীবন-যাপন করছেন। এছাড়া তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ঘরপ্রতি চেয়ারম্যানের চাহিদা অনুযায়ী অর্থের জোগান দিয়েছেন তাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছে। আর যারা ঘরপ্রতি ১০-২০ হাজার টাকা দিতে পারেননি তারা প্রকৃত যোগ্য হলেও কপালে জোটেনি গুচ্ছগ্রামের ঘর। এছাড়াও প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এখনও হস্তান্তর করা হয়নি। যার কারণে ঘরগুলোর দরজা-জানালা খুলে পড়ছে। ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম (শফু) বলেন ঘর দেওয়ার নামে কোন টাকা নেয়া হয়নি।
×