ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ডাকসু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অলিম্পিয়াড ২০২০

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ডাকসু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অলিম্পিয়াড ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুজিববর্ষ সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ডাকসু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অলিম্পিয়াড ২০২০। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এবং পারদর্শীদের পুরস্কৃত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে। গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ মুজিবুর রহমান গণিত ভবনে পর্দা উঠে এ অলিম্পিয়াডের। অলিম্পিয়াডে ৭ টি পৃথক বিষয়ের উপর জুনিয়র ও সিনিয়র দুই গ্রূপে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অলিম্পিয়াডে অংশ নিতে অনলাইন এবং অফলাইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১৫০০ এর অধিক শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করে। সকাল ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ সামাদ অলিম্পিয়াডের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডঃ মোঃ মুরাদ হাসান (এমপি) এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফর্মেশন (সিআরআই) এর কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দিনব্যাপী পর্যায়ক্রমে ৭ টি বিষয়ের ওপর অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী বক্তৃতায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ মুহাম্মদ সামাদ অলিম্পিয়াড আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা এবং একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানের অপরিহার্যতা নিয়ে কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী ডঃ মুরাদ হাসান বলেন “ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমনস্ক তরুণ সমাজ গড়ে তুলতে হবে। ডাকসু আয়োজিত এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী করে তুলবে বলে আমার বিশ্বাস”। পাশাপাশি অলিম্পিয়াডে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভীড় দেখে আভিভূত হন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী এবং এই আয়োজনের জন্য ডাকসুকে এবং ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ আরিফ ইবনে আলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সিআরআই এর কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান অনুশীলনের সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। এজন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অলিম্পিয়াড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক অলিম্পিয়াডসহ অন্যান্য কর্মসূচী হাতে নিতে হবে”। পাশাপাশি তিনি ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে সুষ্ঠু ও সফলভাবে অলিম্পিয়াড আয়োজনের জন্য ডাকসুকে এবং ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আরিফ ইবনে আলীকে অভিনন্দন জানান। অলিম্পিয়াডের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি উদ্যোক্তা সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয় যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলো সকলের সামনে তুলে ধরেন। অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড, কলম, ব্যাচসহ অন্যান্য স্যুভনীর সামগ্রী প্রধান করা হয়। উল্লেখ্য, আগামী ১ মার্চ বিকাল ৩ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটরিয়ামে ডাকসু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অলিম্পিয়াডের পুরষ্কার বিতরনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জনাব নসরুল হামিদসহ অন্যান্য গণমান্য অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন। ডাকসু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অলিম্পিয়াডের সমগ্র আয়োজন নিয়ে ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ আরিফ ইবনে আলী বলেন, “ডাকসু সবসময়ই শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভাবে এবং কাজ করে। ডাকসুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে আমি চাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী তাদের একডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত জ্ঞান অন্নেষণ করবে। একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমনস্ক হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে পারলে কর্মক্ষেত্রে তারা নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে। এ লক্ষ্যেই আমরা এই অলিম্পিয়াডের আয়োজন করেছি”।
×