ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিটি নির্বাচনে কারচুপি হলে দুর্বার আন্দোলন ॥ গয়েশ্বর

প্রকাশিত: ০৮:০৮, ৯ জানুয়ারি ২০২০

 সিটি নির্বাচনে কারচুপি হলে দুর্বার আন্দোলন ॥ গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারচুপি হলে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও রোডের হক টাওয়ারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে এক কর্মী সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা জানান। গয়েশ্বর অভিযোগ করেন, ইতোমধ্যে বিএনপির বিভিন্ন সংরক্ষিত আসনের মহিলা প্রার্থী ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি হানা দেওয়া হচ্ছে। কাউকে জোর করে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, কাউকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কাউকে বিভিন্নভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন হবে কি হবে না এখান থেকে জনগণ পরিমাপ করে। গয়েশ্বর বলেন, আমরা মহল্লায় যাব, ভোটারদের ঘরে ঘরে যাব, সবাইকে সাহস যোগাব, সবাই ভোট কেন্দ্রে আসবে তারা ভোট দিতে পারবে, তাদেরকে ভোট দিতে হবে। বিএনপি হারার আগে হেরে যায় বলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, আপনার কথাটা তো অসত্য না। কারণ ৩০ তারিখের ভোট যদি আপনি ২৯ তারিখে ফলাফল দেন, তাহলে হারার আগে হারা ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। গয়েশ্বর বলেন, সিটি নির্বাচনে জালিয়াতি হলে আমরা কোনো দিক নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকবো না। আমরা রাস্তায় নেমে পড়বো। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না। আমরা হারার আগে হারব না। নির্বাচন নিয়ে কোনো জালিয়াতির আভাস পাওয়া গেলে সেখান থেকেই সরকার পতনের আন্দোলনের সূচনা হবে। বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, এবার এই নির্বাচনকে রাজনৈতিক যুদ্ধ হিসেবে নিয়েছি। তাই লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই মাঠ ছাড়বেন না। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবো। তিনি বলেন, এটা নির্বাচনে জয়ের রায় হবে না, দেশের মানুষের এটা রায় হবে। কারণ, পুরো দেশের সব জেলার মানুষ ঢাকা শহরে বাস করে। ৩০ লাখ ভোটার অপেক্ষায় আছে ১৬ কোটি মানুষের পক্ষে আবার শক্তভাবে বিএনপির প্রতি একটা জনরায় দেওয়ার জন্য। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর আন্দোলন ত্বরান্বিত করে ভোটের অধিকার ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা প্রস্তুত। কর্মী সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুব দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সভাপতি বজলুল বাসিত আনজু, সাধারণ সম্পাদক আহসানউল্লাহ হাসান প্রমুখ।
×