স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী মহানগরীতে বুধবার সংঘটিত পৃথক দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। স্বজনরা বাদী হয়ে নগরীর চন্দ্রিমা ও শাহমখদুম থানায় মামলা দুটি করেছেন। আলাদা দুটি খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করেছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলভবনের ঠিকাদারী নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বুধবার দুপুরে সংঘর্ষ শুরু হলে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন নগর যুবলীগের সদস্য সানোয়ার হোসেন রাসেল (৩৫)। একই ঘটনায় তার ভাই বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাসেলসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।
এদের মধ্যে রাজাসহ দুইজন এখন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন রেলভবন সংলগ্ন এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে একই দিন বিকেলে নগরীর শাহমখদুম থানাধীন পবা নতুনপাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই যুবকের ছুরিকাঘাতে নিহত হন আব্দুল্লাহ আল ফাহিম (১৮) নামে এক কলেজছাত্র। তিনি পবা নতুনপাড়া এলাকার শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, ফাহিম খুনের ঘটনায় রাতেই তার বাবা গোলাম হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় দুই যুবককে আসামি করা হয়েছে। এরা হলো- নগরীর ভাটাপাড়া মহল্লার বশির আলমের ছেলে আজমীর হাসান (২২) ও একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে রাকিব হাসান আবির (১৯)। এদের মধ্যে রাকিবকে বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসি শেখ মো. গোলাম মোস্তফা জানান, যুবলীগ নেতা রাসেল খুনের ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে রাতে মামলা করেছেন। মামলায় আসামি হিসেবে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর রাতেই অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরা হলো, নগরীর শিরোইল কলোনী এলাকার বুলবুল হোসেনের ছেলে রাব্বি (২৫), জয়নালের ছেলে মো. বাপ্পি (১৯), নূর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে মো. শাহিন (২৪), মানিকের ছেলে মো. শুভ (২১), বাবু ইসলামের ছেলে চঞ্চল (১৯), জালাল উদ্দিনের ছেলে কলাম উদ্দিন (১৯) এবং আবুল কালাম চৌধুরীর ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম অভ্র (১৯)।
আরএমপির মুখপাত্র জানান, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে নিহত রাসেল ও ফাহিমের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিদেরও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যদেরও গেফতারের চেষ্টা চলছে।
