ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ‘সেফ জোন’ সম্ভব নয় ॥ মিয়ানমার

প্রকাশিত: ১০:২৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

 রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে  ‘সেফ জোন’  সম্ভব নয় ॥  মিয়ানমার

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে ‘সেফ জোন’ বা নিরাপদ অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে মিয়ানমার বলেছে, দুই বছর আগে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় প্রত্যাবাসন চুক্তির বাইরে গিয়ে কিছু করার নেই। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অধিবেশনের পঞ্চম দিনের বিতর্কে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শনিবার রাতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর কার্যালয়ের মন্ত্রী কোয়ে তিন্ত সোয়ে একথা বলেন। তবে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগের মুখে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য ‘আরও উপযোগী পরিবেশ’ তৈরিতে মিয়ানমার এখন অগ্রাধিকার দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন দেশটির জ্যেষ্ঠ এ কর্মকর্তা। খবর বিডিনিউজের। মিয়ানমারের মন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশ, জাতিসংঘ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৭ সালের আগস্টে সেনা অভিযানের পর প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। ওই বছরের নবেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী প্রত্যাবাসন হবে জানিয়ে কোয়ে তিন্ত সোয়ে বলেন, মিয়ানমারের ভেতরে ‘সেফ জোন’ বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরির চাপ রয়েছে। কিন্তু এটি নিশ্চিত করা যাবে না, বাস্তবসম্মতও নয়। বাংলাদেশকে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বিশ্বস্ততার সঙ্গে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এটাই বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সমস্যা সমাধানের একমাত্র সম্ভাব্য উপায়। এর আগে এই অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাখাইনে সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও চলাফেরার স্বাধীনতাসহ সামগ্রিক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে রাজি নয়। বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা এসেছেন ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে নতুন করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন শুরু হওয়ার পর। জাতিসংঘ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযান হিসেবে বর্ণনা করে আসছে।
×