ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল : নৌ-পরিবহন মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:৫৮, ১৮ মার্চ ২০১৮

বিএনপি দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল : নৌ-পরিবহন মন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বালাসী-বাহাদুরাবাদ নৌরুটে ফেরী সার্ভিস চালু হবে। রুটটি চালু হলে উন্নয়নে গতি আসবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর শাসনামলে নদী খননের জন্য ৭টি ড্রেজার ক্রয় করেছিলেন। পরবর্তীতে নদী খননের জন্য কোন সরকার উদ্যোগ গ্রহন না করায় নদীগুলো ভরাট হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন নদীকে ভালবাসতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তেমনি ভালবাসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আবারও নদী খননের কাজ হাতে নিয়েছেন। ইতিমধ্যে নদী খননের জন্য একশটি ড্রেজার ক্রয় করা হয়েছে যা দিয়ে ১৭৮টি নৌপথ খনন করা হবে। এছাড়া বালাসী-বাহাদুরাবাদ টানেল নির্মাণের সম্ভাবতা যাচাইবাছাইয়ের কাজ চলছে। তিনি বলেন, বিএনপি সরকার ফেরী সার্ভিস চালুর কোন উদ্যোগ নেয়নি। টানেলের কথা তারা স্বপ্নেও ভাবেনি। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তা বলতে হয়নি। আ’লীগ উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই আওয়ামী লীগ সারাদেশে উন্নয়নের কাজ করছে। তিনি বলেন, বিএনপির আমলে খাদ্য আমদানি করতে হয়েছে, আর আ’লীগ খাদ্য রপ্তানি করছে। তারা সারের জন্য কৃষককে হত্যা করেছে, আর এখন সারই কৃষকের পেছনে ছোটে। মন্ত্রী শাহজাহান খান আরও বলেন, বিএনপি নাশকতা ও জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী। সন্ত্রাস নাশকতা চালিয়ে তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। কোরআন শরীফ পুড়িয়ে তান্ডব চালিয়েছে তারা। বিএনপি ক্ষমতা থাকার সময় দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর এ কারণেই দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত হয়ে আজ জেলে। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে টানেলের কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। ফেরী সার্ভিসও বন্ধ হবে। তাই উন্নয়নের গতিকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীতে ফেরিঘাটসহ আনুষাঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার সেখানে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এসব কথা বলেন। বিআইউব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি অ্যাড. স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, গাইবান্ধা পৌর মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার মো. শাহীদ হাসান লোটন, ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আজহারুল ইসলাম বাবলু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এটিএম রাশেদুজ্জামান রোকন প্রমুখ।
×