ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফেঁসে যাচ্ছেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের সেই ভূমি কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ২৪ জানুয়ারি ২০১৮

ফেঁসে যাচ্ছেন বরিশাল জেলা প্রশাসনের সেই ভূমি কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ সরকারের প্রায় ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমিদস্যুদের রেকর্ড করিয়ে দেয়ার অভিযোগে ফেঁসে যাচ্ছেন বরিশাল (সদর) ভূমি অফিসের সাবেক সহকারী কমিশনার নাজমুল হুসাইন খান (পরিচিতি নম্বর-১৬৭৭৩)। বর্তমানে তিনি বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত কমিশনার পদে কর্মরত রয়েছেন। গত ১৬ অক্টোবর “বরিশালে ১৫ কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি বেহাত” শিরোনামে দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সরকারী সম্পত্তি ব্যাক্তি মালিকানায় পাইয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে মন্ত্রী পরিষদ নির্দেশিত বেশ কয়েকটি টিম তদন্ত শুরু করেছেন। আর এতেই বিপাকে পরেছেন নাজমুল হুসাইন খান। বরিশাল জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপ-সচিব মোঃ শাফায়াত মাহাবুব চৌধুরী (১৪-১১-২০১৭ইং তারিখ) স্বাক্ষরিত আদেশে নাজমুল হুসাইন খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণের নির্দেশনা দিয়েছেন বরিশাল জেলা প্রশাসককে। বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান। সূত্রমতে, নাজমুল হুসেইন খান ২০১৫ সালের প্রথম দিকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অফিসে যোগদান করেন। তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনারের আদেশে পটুয়াখালী জেলার বাউফলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে তাকে পোস্টিং দেয়া হয়। বাউফলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে যোগদানের পর সাধারণ মানুষের সাথে ঘুষের টাকা নিয়ে মারপিট করার অভিযোগে উঠলে নাজমুলকে বাউফল থেকে বদলী করে বরিশালে আনা হয়। এক পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনার নাজমুলকে বরিশাল জেলা সদর (ভূমি) অফিসে যোগদানের নির্দেশ দেন। সদর (ভূমি) অফিসে যোগদানের পরপরই নাজমুল হুসেইন খান বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, নাজমুল হুসাইন খানের দুর্নীতির বিষয় যে অভিযোগ মন্ত্রীপরিষদ থেকে এসেছে সেটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তনাধীন। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “খ” তফসিলভূক্ত সম্পত্তি এসিল্যান্টের এখতিয়ারে রয়েছে। তিনি সন্তুষ্ট হলে “খ” তফছিল সম্পত্তি আইনগত তার অবমুক্ত করে দিতে পারেন। জেলা প্রশাসক দাবী করেন, নথিটা আমি দেখেছি; দুইভাবেই বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। নথিতে অস্পষ্টতা রয়েছে। আমি এডিসি রেভিনিউকে বলেছি এসিল্যান্ডের রায় বাতিলক্রমে এটা মূল খতিয়ানে সংযুক্ত করতে। যাতে সরকারের স্বার্থহানী না ঘটে।
×