ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত খালেদা

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত খালেদা

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আগুণ সন্ত্রাস, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা ও বল্লাহীন দুর্নীতির কারণে দেশের জনগণ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে প্রত্যাখান করেছে। তারা বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনে তাদের আবারও ভরাডুবি ঘটবে, সে কারণে আগামী নির্বাচনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল চক্রান্ত রূখে দিয়ে চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম, সরকারি দলের এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, নুর জাহান বেগম ও জাতীয় পার্টির শওকত চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা বলেন, মাত্র ৯ বছরেই দেশের চিত্র পাল্টে গেছে। বর্তমান সরকারের দু’মেয়াদে সারাদেশে যে উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে তা সারা বিশ্বকেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বের মধ্যে দক্ষ, সৎ ও মানবতার নেত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়া ও স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতকে আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার সুযোগ দেবে না। আগামী নির্বাচনেও দেশের জনগণ এই অশুভ শক্তিকে প্রত্যাখ্যান করবে। সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত। বিএনপি সংবিধান ও আরপিও বুঝে না বলেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান। আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নির্বাচন না করার জন্য নানা চক্রান্ত করছে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, নাশকতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য দেশের জনগণ তাদের ভোট দেবে না, এ কারণেই নির্বাচনের পরিবর্তে চক্রান্তে মেতে উঠেছে। বাস্তবে বিএনপি নির্বাচন চায় না। পেছনের পথ দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু সেই স্বপ্ন দেশের মানুষ কোনদিন বাস্তবায়িত হতে দেবে না। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির শওকত চৌধুরী বলেন, বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশ ও দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এবং এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখা যায়, কিন্তু রাজপথের যে দলটি (বিএনপি) রয়েছে তাদের উন্নয়ন দেখা যায় না। মাত্র ৪ বছরেই আমরা এলাকায় যত উন্নয়ন করেছি, অতীতের কেউ-ই তা করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার উদার, মুক্ত ও গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, উদার মানবিকতা ও সাহসী নেতৃত্ব সারাবিশ্বই আজ প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়ন-অগ্রগতির মহাসড়ক দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে প্রধান বাধাই হচ্ছেন জিয়া পরিবার। খালেদা জিয়া ও তাঁর পুত্ররা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দুর্নীতিবাজ তালিকায় স্থান পেয়েছে। এখন পরাজিত নিশ্চিত জেনেই খালেদা জিয়া উম্মাদ ও বিকারগ্রস্তের মতো আবোলতাবোল বকছেন। এবি তাজুল ইসলাম বলেন, এ দেশে কিছু সুশিল সমাজ নামে ব্যক্তি রয়েছে তারা ঘুরে ফিরেই একজন চক্রান্তকারী রাজনৈতিক নেত্রীকে গর্ত থেকে টেনে তুলতে চান। খালেদা জিয়া ও তার দোসররা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যে নেত্রী (খালেদা জিয়া) দেশের মানুষ ও ভোটারকে হত্যা করে, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির যাত্রাকে ব্যহত করতে চায় তাকে দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের অবস্থা হবে সিরিয়া, আফগানিন্তান ও পাকিস্তানের মতো।
×