জন্ম , মৃত্যু এ বিধাতার বিধান, এর পরেও মানুষ নতুন দিনের স্বপ্ন দেখে। এমন নির্মম সত্য জেনেও আমরা আগামীর পথে হাঁটি, কারণ চলতে হয়। এটাই বোধহয় জীবনের নিয়ম। জীবন তো ছুটে চলে বহতা নদীর মতো। তবে জীবনের গান কিংবা জীবন থেকে নেয়া নির্মম আর বাস্তব চির সত্য পরিণতিগুলোকে কথার মালায় সাজিয়ে, তাকে সুরের পুঁথি দিয়ে গেঁথে, জীবনের জন্য গাওয়া গানই মানুষ সব সময় মনের ভেতর লালন করে রাখে। ঠিক সে রকম একজন রকস্টার ডোলর্স ও’রিয়রডন।
ডোলর্স ও’রিয়রডন আইরিশ রক ব্যান্ড ‘দ্য ক্র্যানবেরিজ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও লিড ভোকালিস্ট ছিলেন। বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ভক্ত। তার গানের জাদুতে মাতোয়ারা রকপ্রেমীরা। সেই গানের পাখি অকালে বিদায় নিলেন আমাদের মাঝ থেকে। মাত্র ৪৬ বছর বয়সেই চলে গেলেন এই আইরিশ রকস্টার। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। হোটেল কক্ষে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী। সোমবার লন্ডনের একটি হোটেল থেকে ৪৬ বছর বয়সী এই আইরিশ রকস্টারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই শিল্পীর জনসংযোগ আধিকারিক লিন্ডসে হোমস ডোলর্সের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। হোমস জানিয়েছেন, লন্ডনে রেকর্ডিংয়ের জন্য গিয়েছিলেন তিনি। ডোলর্সের মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ তার পরিবার। এদিকে মাত্র ৪৬ বছর বয়সেই এই রক গায়িকার আকস্মিক মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা তার হাজার হাজার ভক্ত স্তম্ভিত। ডোলর্সের মৃত্যুতে আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি. হিগনিস গভীর শোক জ্ঞাপন করে বলেছেন, ‘রক ও পপ সঙ্গীতে দ্য ক্র্যানবেরিজের জনপ্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি গোটা বিশ্বেই খ্যাতি পেয়েছিলেন ডোলর্স ও’রিয়রডন। তার মৃত্যু এক বড় ক্ষতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে শোকের বন্যা। আয়ারল্যান্ডের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পীরাও তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
‘দ্য ক্র্যানবেরিজ’ ব্যান্ডের সহশিল্পী, নোয়েল, মাইল এবং ফার্গল টুইটে লিখেছেন, ‘আমরা বন্ধু বিয়োগে বিধ্বস্ত। ও’রিয়রডন এক অসাধারণ শিল্পী, আমরা গর্বিত তার জীবনের অংশ হতে পেরে। বিশ্ব আজ একজন ভাল শিল্পীকে হারাল। আরেক জনপ্রিয় আইরিশ সঙ্গীতশিল্পী হজিয়ের শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমার প্রথম শোনা ডোলর্স ও’রিয়রডনের গান আমি কখনই ভুলব না। আমার মনে প্রশ্ন জাগত, এ রকম অসাধারণ এক কণ্ঠকে রকসঙ্গীতের শব্দের প্রেক্ষিতে কীভাবে তিনি ব্যবহার করতেন! আমি কখনও কাউকে এ রকম যন্ত্রসঙ্গীত ব্যবহার করতে শুনিনি। তার মৃত্যুর সংবাদে আমি শোকস্তব্ধ। উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সারা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করে এই ব্যান্ড। লিঙ্গার, জম্বি বা ড্রিমসের মতো বেশকিছু গানই খ্যাতি এনে দিয়েছিল ‘দা ক্র্যানবেরিজকে। আর প্রায় ১৩ বছর এই ব্যান্ডের ধান গায়িকা ছিলেন ডলোরস। ডুরান ডুরানের প্রাক্তন ট্যুর ম্যানেজার ডন বারটনকে ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেন ডলোর্স। তাদের তিনটি সন্তান আছে। ২০১৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তার।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: