ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পিকেএসএফের উদ্যোগ ॥ টার্কি পালনে দারিদ্র্যমুক্তি

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

পিকেএসএফের উদ্যোগ ॥ টার্কি পালনে দারিদ্র্যমুক্তি

আনোয়ার রোজেন ॥ নিজের গড়ে তোলা খামারের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন আলম মিয়া (২৯)। তাকে ঘিরে রয়েছেন আরও কয়েকজন খামারি। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধুরইল গ্রামের এই যুবক বছরখানেক আগেও ছিলেন বর্গাচাষী। সংসার চালাতে উদয়স্ত পরিশ্রম করতেন অন্যের জমিতে। তবু কুলাচ্ছিল না। সংসারে কিছুটা বাড়তি আয়ের আশায় প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করেন টার্কি মুরগির পালন। প্রথমে বাড়ির আঙিনায় অল্প একটু জমিতে খামার দেন তিনি। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে তার খামারে টার্কির সংখ্যা ছিল ২০টি। আলম মিয়া জানালেন, এক বছরে ওই টার্কিগুলোর মধ্যে ১০টি মুরগির প্রতিটি থেকে এখন পর্যন্ত তিনি গড়ে হাজার টাকার ডিম ও বাচ্চা বিক্রি করেছেন। অর্থাৎ মাত্র ১০টা টার্কি থেকে তিনি ডিম ও বাচ্চা বিক্রি করেছেন ৭ লাখ টাকার! শুধু মুখের কথায় বিশ্বাস করব কেন? আলম মিয়া মুচকি হাসেন। আধা পাকা নতুন বসত ঘরটি দেখিয়ে বললেন, বাচ্চা ও ডিম বিক্রির টাকায় এই ঘর তুলেছি। একটু আগে ঘরের ভেতর যে ফ্রিজ ও টেলিভিশন দেখলেন, তাও এই খামারের আয় থেকেই কেনা। সফল টার্কি খামারি হিসেবে আলম মিয়ার উত্থান দেখেছেন প্রতিবেশী আবদুর রহমান (৫০)। জটলার মধ্য থেকে আলমের সমর্থনে এগিয়ে এলেন তিনি। বললেন, ধুরইলে আলমই প্রথম টার্কির খামার করেন। তার দেখাদেখি এখন আশপাশের এলাকার প্রায় ১০০টি পরিবার ছোট-বড় পরিসরে টার্কি পালন করছে। আর এক্ষেত্রে ঋণ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সহযোগিতা করেছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও স্থানীয় এনজিও জাকস ফাউন্ডেশন। আবদুর রহমানের নিজের খামারে এখন টার্কি আছে ৩৫টি। যাকে দেখে শুরু করেছিলেন, সেই আলমের খামারে পূর্ণবয়স্ক টার্কির সংখ্যা এখন ৫০টি। পেছনের কথা ॥ জাতীয় উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান পিকেএসএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) ড. মোঃ জসীম উদ্দিন জানান, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়বর্ধনমূলক কর্মকা- হিসেবে পোল্ট্রি সেক্টরের বিশেষ অবদান রয়েছে। সাম্প্রতিককালে বাণিজ্যিক পর্যায়ে পালন করা ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এবং খাবারের মূল্য বেশি হওয়ায় ব্যক্তি পর্যায়ে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লাভজনক হচ্ছে না। এ প্রেক্ষিতে পিকেএসএফ তাদের লার্নিং এ্যান্ড ইনোভেশন ফান্ড টু টেস্ট নিউ আইডিয়াস, সংক্ষেপে লিফট কর্মসূচীর আওতায় ২০১৬ সালে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক মানুষকে সহযোগিতা সংস্থার মাধ্যমে টার্কি পালনের প্রশিক্ষণ, কারিগরি ও অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। পোল্ট্রি জাতগুলোর মধ্যে টার্কির বৃদ্ধির হার তুলনামূলক দ্রুত, খাদ্য রূপান্তরের সক্ষমতা (ফিড কনভারশন রেশিও) এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। টেকসই দারিদ্র্যমুক্তি ও সক্ষম উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে পিকেএসএফের নেয়া উদ্যোগটি এরই মধ্যে সাফল্যের মুখ দেখেছে। প্রান্তিক পর্যায়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে টার্কি পালন। সম্প্রতি এ প্রতিবেদক জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধুরইল এবং মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ ও আদমপুরে টার্কি পালনে প্রান্তিক মানুষের দারিদ্র্যমুক্তির সাফল্য ও সম্ভাবনার চিত্র সরেজমিন ঘুরে দেখেছেন। ধুরইল টার্কি পল্লী ॥ আড়াই মাসের ২০টি বাচ্চা নিয়ে টার্কির খামার শুরু করেছিলেন আলম মিয়া। সবমিলিয়ে তাতে খরচ পড়েছিল ৩৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে পিকেএসএফ ও জাকস ফাউন্ডেশন থেকে তিনি ঋণ নিয়েছিলেন ২০ হাজার টাকা। মাচা পদ্ধতির মাধ্যমে টার্কি পালন শুরু করেন তিনি। আলম বলেন, আড়াই মাসের টার্কি ছয় মাস হতেই ডিম দেয়া শুরু করে। জাত ভেদে একটি পূর্ণবয়স্ক (ছয় মাসের) টার্কি মুরগির ওজন পাঁচ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। একটি টার্কি মুরগি বছরে ২০০ থেকে ২৫০টি ডিম দেয়। আলম মিয়া বড় টার্কি, বাচ্চা এবং ডিম বিক্রি থেকে এ পর্যন্ত ৭ লাখ টাকা আয় করেছেন। বর্তমানে খামারে আরও ৫০টি টার্কি রয়েছে। বাচ্চা ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে ৫০টি ডিম। ডিম দেয়ার উপযোগী প্রতিজোড়া টার্কি বিক্রি করছেন আট হাজার টাকায়। প্রতি পিস ডিম বিক্রি করছেন ২০০ টাকা করে। আলমকে দেখে পাঁচবিবির আরও প্রায় ১০০টি পরিবার টার্কি পালন শুরু করেছেন। একারণে টার্কি পল্লী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ধুরইল। আলমের মতো টার্কি পল্লীর খামারি শোভা রানী দাস, এনামুল হক সবুজ, আবু মুছা, মোহাম্মদ আইয়ুব টার্কির খামার করে সফল হয়েছেন। তাদের সংসারের অনটন ঘুচেছে। আলমের কাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করে বাচ্চা ফুটিয়ে খামার শুরু করেছিলেন গরুহাটির আহসানুল হক বিপ্লব। বর্তমানে বিপ্লবের খামারে টার্কি আছে ৮০টি। এনামুল হক সবুজ মাত্র ৬টি টার্কি পালন করছেন। ডিম বিক্রি করে প্রতি মাসে তার ৭-৮ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। জয়পুরহাটে পিকেএসএফের টার্কি পালন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে জাকস ফাউন্ডেশন। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক নুরুল আমিন জনকণ্ঠকে বলেন, পাঁচবিবিতে টার্কি পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মূলত দরিদ্র মানুষকে সচ্ছল ও স্বাবলম্বী করার উদ্দেশেই আমরা টার্কি পালনে সহযোগিতা দিয়ে থাকি। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আমরা প্রত্যেক সদস্যকে খামার শুরু করার সময় ১০টি টার্কি অনুদান হিসেবে দিই। তাছাড়া টার্কির রোগ বালাই প্রতিরোধসহ খামার সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতাও আমরা দিচ্ছি। সংস্কার ভেঙ্গে কর্মসংস্থান মণিপুরীদের ॥ কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের নয়াপত্তন গ্রামের মনিপুরী সম্প্রদায়ের বাসিন্দা সন্ধ্যা রানী। স্বামী, সন্তান ও শাশুড়ি নিয়ে চারজনের ছোট্ট সংসার তার। স্বামী নবচন্দ্র সিংহ স্থানীয় একটি দোকানে কাজ করে মাসে তিন-চার হাজার টাকা পেতেন, যা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হতো। প্রাচীন সংস্কারের কারণে মণিপুরী সম্প্রদায়ের কেউ হাঁস মুরগি পালন করত না। পিকেএসএফ ও স্থানীয় এনজিও হীড বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ সম্প্রদায়ের সুরঞ্জিত সিংহ ও তরুণ সিংহ সংস্কার ভেঙ্গে টার্কি পালন শুরু করেন। তাদের সাফল্যে আগ্রহী হয়ে ওঠেন দরিদ্র সন্ধ্যা রানী। শাশুড়ির আপত্তি থাকলেও স্বামীর উৎসাহে ২০টি টার্কি নিয়ে তিনিও শুরু করেন টার্কির খামার। পাঁচ মাস পর প্রতিটি টার্কি গড়ে প্রায় ৯ কেজি ওজন হয়ে যায়। হীড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ৩৫০ টাকা কেজি দরে ২০টি টার্কি বিক্রি করেন ৬১ হাজার টাকা! এ সময়ে খরচ বাদ দিয়ে প্রথম চালানে ২০টি টার্কি থেকে তার মাসিক আয় দাঁড়ায় গড়ে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। বর্তমানে সংসারের অভাব ঘুচেছে, দূর হয়েছে শাশুড়ির আপত্তিও! বর্তমানে খামারটিকে আরও বড় করার পরিকল্পনা করছেন তিনি। মনিপুরী সম্প্রদায়ের পাশাপাশি স্থানীয় অন্য দরিদ্র মানুষজনও টার্কি পালনে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। উত্তর কুমরাকাপন গ্রামের সুফিয়া আক্তার তেমনই একজন। স্বামী মেহেদি হাসানের সহযোগিতায় তিনিও টার্কি পালন করে সফল হয়েছেন। মেহেদি বলেন, আমার খামারের টার্কি সাদা জাতের। ছয় মাস আগে ২০টি টার্কির বাচ্চা নিয়ে শুরু করেছিলাম। এর মধ্যে আটটি বিক্রি করে ৩২ হাজার টাকা পেয়েছি। খরচ বাদ দিয়েও আমার প্রায় ১২ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। জানতে চাইলে হীড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, টার্কি পালনে আগ্রহ বাড়ায় আমরা একটি টার্কির প্যারেন্ট স্টক খামার (হ্যাচিং ইউনিটসহ) স্থাপন করেছি। ডিম ফোটানোর জন্য চালু করা হয়েছে ইনকিউবেটর। আমাদের খামারে বর্তমানে টার্কির ৩৭টি মোরগ এবং ৩২টি মুরগি আছে। এছাড়া কমলগঞ্জ, আদমপুর ও মুন্সীবাজারে ৬৬ জন সংগঠিত সদস্য টার্কি পালনে প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। টার্কি পালনে দারিদ্র্যমুক্তির ধারণা বিষয়ে জানতে চাইলে পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ জনকণ্ঠকে বলেন, মানুষের জীবন বহুমাত্রিক; দারিদ্র্যও। কাজেই টেকসই দারিদ্র্যবিমোচন এবং পরবর্তী আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য মানুষের বহুমাত্রিক প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিতে হবে। পিকেএসএফ দরিদ্র মানুষের চাহিদা ও উপযোগিতা বিবেচনায় টার্কি পালনকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি আমিষের চাহিদাও পূরণ করা যাচ্ছে। টার্কি ছাড়াও পিকেএসএফ গরু, ছাগল, হাঁস পালন এবং কেঁচো, কুচিয়া ইত্যাদি চাষেও প্রান্তিক মানুষকে সহযোগিতা দিচ্ছে। টার্কি পালনের বৃত্তান্ত ॥ খামারি ও পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বসত বাড়িতে যে কেউ, যে কোন সময় টার্কি পালন করতে পারেন। অল্প পরিসরে করলে দেশীয় মুরগির মতোই পালন করা যায়। সংখ্যায় বেশি হলে খামার করা উত্তম। টার্কির খাবার নিয়ে অন্যান্য জাতের মুরগির চেয়ে দুর্ভাবনা কম। এরা ঠা-া-গরম সব সহ্য করতে পারে। দানাদার খাবারের চেয়ে কলমি শাক, বাঁধাকপি এবং সবুজ শাকসবজি বেশি পছন্দ করে। এরা প্রতিদিন মোট খাদ্যের ৫০-৬০ ভাগ নরম ঘাস খায়। তাই খাবার খরচ কম। মাংস উৎপাদনের দিক থেকে খুবই ভাল। টার্কি মুরগি মাত্র ৬ মাসে ডিম দেয়া শুরু করে। টার্কি সাধারণত নিজেই তাঁর নিজের ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। এছাড়াও টার্কির ডিম দেশী মুরগি কিংবা ইনকিউবেটর দিয়েও ফোটানো যায়। এক বছরেই একটি টার্কি মুরগির ওজন হয় ১০-১২ কেজি। টার্কি মোরগের ওজন ১৬-১৮ কেজি পর্যন্ত হয়। সাধারণত টাকির্র বড় ধরনের কোন রোগ-বালাই হয় না। তবে রানীক্ষেত এবং সালমোনেলোসিস (পায়খানার সঙ্গে রক্ত আসা) রোগ দেখা দিতে পারে। সচেতনতা এবং সঠিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে রোগ বালাই হয় না বললেই চলে। টার্কি লালন পালনে এক বছরেই পুঁজির দুই-তিনগুণ মুনাফা করা সম্ভব। মাংস হিসেবে টার্কির কদর ॥ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাংস হিসেবে টার্কি খুবই জনপ্রিয় এবং অভিজাত খাবার। বাংলাদেশে টার্কির মাংসের প্রচলন খুব বেশি দিনের নয়। দেশের তারকা হোটেলগুলো বিদেশী অতিথিদের জন্য টার্কির মাংস আমদানি করে থাকে। আমাদের দেশে টার্কি রান্না করা হয় মুরগির মাংসের মতো। রোস্ট ও কাবাব হিসেবেও টার্কির মাংস খাওয়া যায়। দেশে আমিষের চাহিদা পূরণের অন্যতম উৎস হওয়ার সম্ভাবনা আছে টার্কির। দিন দিন এর মাংসের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, নাটোর ও কুমিল্লাসহ বেশ কিছু অঞ্চলে টার্কির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কেন টার্কি খাবেন ॥ টার্কির মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, চর্বি কম। তাই এটি গরু কিংবা খাসির মাংসের চমৎকার বিকল্প হতে পারে। প্রতি ১০০ গ্রাম টার্কির মাংসে প্রোটিন ২৫ ভাগ। অন্য প্রজাতির মুরগির মাংসে প্রোটিন ২২ ভাগ এবং গরুর মাংসে ২০ ভাগ। অন্যদিকে খাসির মাংসে কোলস্টেরল রয়েছে শতকরা ২৩ ভাগ, গরুর মাংসে শতকরা ২৪ ভাগ। মুরগির মাংসে ৫ ভাগ। টার্কি মাংসে কোলস্টেরল শূন্য ভাগ। নিয়মিত এই মাংস খেলে কোলস্টেরল কমে যায়। টার্কির মাংসে অধিক পরিমাণ জিংক, লৌহ, পটাশিয়াম, বি৬ ও ফসফরাস থাকে। এ উপাদানগুলো মানব শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। টার্কির মাংসে এমাইনো এসিড ও ট্রিপটোফেন অধিক পরিমাণে থাকায় এর মাংস খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়াও টার্কির মাংস পুষ্টিকর ও সুস্বাদু হওয়ায় এটি খাদ্য তালিকার একটি আদর্শ মাংস হতে পারে। পাশাপাশি দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মাংসের চাহিদা মেটাতে রাখতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যাদের অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া নিষেধ অথবা যারা নিজেরাই এড়িয়ে চলেন, কিংবা যারা গরু বা খাসির মাংস খান না, টার্কি তাদের জন্য হতে পারে প্রিয় একটি বিকল্প। তাছাড়া বিয়ে, বৌ ভাত, জন্মদিনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাসি/গরুর মাংসের বিকল্প হিসেবে টার্কির মাংস হতে পারে অতি উৎকৃষ্ট একটি খাবার এবং গরু বা খাসির তুলনায় খরচও হবে কম।
×