ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় দু’দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শেষ

প্রকাশিত: ০১:১৮, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

পাবনায় দু’দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শেষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা ॥ দুইদিনব্যাপী লালন সরণোৎসব মঙ্গলবার গভীর রাতে শেষ হয়েছে। “সহজ মানুষ ভজে দেখনা রে মন দিব্যজ্ঞানে” লালন সাঁই এই গানের কথাকে সামনে নিয়ে সোমবার থেকে দুদিনব্যাপী উৎসব শুরু হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল পৌর মিলনায়তন মাঠ প্রঙ্গনে অনুষ্ঠিত দুইদিনের উৎসবের সমাপনি দিনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত লালন শিল্পী লালান কন্যা নামে খ্যাত ফরিদা পারভিন। বিকেল ৪টা থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বিকেলে স্থানীয় লালন শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। সন্ধ্যায় লালন পরিষদের উপদেষ্টা একুশে বই মেলা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান স্বপন এর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পাবনার জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রখ্যাত বংশীবাদক গাজী আব্দুল হাকিম, পাবনা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক রিয়াজুল হক রেজা, রানা গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বিশ্বাস রানা, নাট্যকার নির্দেশক শ্রী গণেশ দাস, সাহিত্যিক অধ্যাপক সমীর আহমেদ প্রমুখ। দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবৃত্তিকার স্বাধীন মজুমদার, মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল, শরিফুল ইসলাম। সপ্তম বারের মত আয়োজিত লালন উৎসবের দ্বিতীয় দিনের প্রধান অতিথি পাবনা জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সকলের মধ্যে লালন দর্শন ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি কর্মীরা কখনো তাদের সংগ্রাম থেকে পিছিয়ে আসেনি। ললান সাঁই সকল সময় তার কথার মধ্যে মানুষের সম্মান করার কথা বলেছেন। লালন দর্শন সকল সময় সকল সমাজের সকল ধর্মের সমান অধিকারের কথা বলেছেন। স্কুল, কলেজ এবং গ্রাম-গঞ্জে সকল স্থানে আমাদের দেশী কৃষ্টি কালচার ছড়িয়ে দেবার জন্য লালন উৎসব করতে হবে। তবেই আমরা আমাদের শেকড়ের কাছে যেতে পারবো। বিদেশি সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে আমাদের সংস্কৃতি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। সোমবার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট লালন সঙ্গীত শিল্পী শফি ম-ল। এদিনের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উৎসব কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন। বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক আখতার জামান, সাংবাদিক এডভোকেট মুরশাদ সুবহানী, লালন পরিষদের সহ সভাপতি গোলাম রব্বানী প্রমুখ। স্থানীয় শিল্পী নাসিমা খানম, রবিউল ইসলাম, শাহরিয়ার, লালন, হিমেল, জাহাঙ্গীর, পুষণ ও সাগরী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। তবলা সঙ্গত করেন রমেশ ঘোষ, রিতম দাস এবং পল্লব বিশ্বাস; দোতারায় ছিলেন লালন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে হাজারো দর্শক মাঠ প্রাঙ্গনে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
×