নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লুগোল্ড প্রকল্পের চাউলা পানি ব্যবস্থাপন দলের সাধারণ নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান ও তার ভাড়াটে লোকজন দলীয় প্রভাব বিস্তার করে অপর প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মোঃ সানু মাদবরের চার সমর্থককে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মোঃ সানু মাদবর বুধবার সকাল ১০ টায় আমতলী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এসে নির্বাচন বর্জন ও প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর হামলার অভিযোগ করেছেন। আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
জানাগেছে, উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়েন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লুগোল্ড প্রকল্পের চাউলা পানি ব্যবস্থাপনা দলের সাধারণ নির্বাচন বুধবার সকাল ৯ টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলে। নির্বাচন শুরু হওয়ার পূর্বে সভাপতি প্রার্থী ও আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান ও তার ভাড়াটে লোকজন দলীয় প্রভাব বিস্তার করে অপর প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী সানু মাদবরের লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এ হামলায় সানু মাদবরের সমর্থক মোজাম্মেল (৩৫), কবির (৩২), হিরন মোল্লা (৩৬), মিজান (৩০) আহত করে। আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় সভাপতি প্রার্থী সানু মাদবর নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে দু’জন, সাধারণ সম্পাদক পদে দু’জন ও কার্যকরী সদস্য দুঃস্থ নারী সম্পাদক পদে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এ পানি ব্যবস্থাপনা দলে ভোটার সংখ্যা ৩ শ’৩ জন। এ ভোটারের মধ্যে ২শ’৭০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
নির্বাচন বর্জনকারী সভাপতি প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মোঃ সানু মাদবর অভিযোগ করে বলেন, প্রার্থী হাবিবুর রহমান তার ভাড়াটে লোকজন দিয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমার লোকজনের উপর হামলা করেছে। এতে আমার চারজন আহত হয়েছে। তিনি আরো বলেন প্রার্থী হাবিবুর রহমান ভোট কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। আমার এজেন্ট, কর্মী-সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেয়নি। এ পরিস্থিতি দেখে আমি ভোট বর্জন করেছি।
প্রার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, মোঃ সানু মাদবরের বহিরাগত লোকজন আমার ও আমার সমর্থকদের উপর হামলা করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। নির্বাচনে হেরে যাবে বুঝে তিনি ভোট বর্জনের নাটক করেছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শহিদ উল্যাহ বলেন, নির্বাচন শুরু হওয়ার পূর্বে ভোট কেন্দ্রের বাহিরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরপর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আখতারুজ্জামান খান বলেন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাচন আইন সৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনকারী মোঃ রেজাউল কবির বলেন, সুষ্ঠু সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন অপ্রতিকর ঘটনা কেন্দ্রের ভিতরে ঘটেনি।
