ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সম্পৃক্ততার আহ্বান

প্রকাশিত: ০৮:১৭, ২৫ নভেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সম্পৃক্ততার আহ্বান

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মানবাধিকার গ্রুপগুলো শুক্রবার বলেছে, বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ফেরত আনার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক এজেন্সিগুলোকে নজরদারি করার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তিন মাসের জাতিগত নির্মূল অভিযানে তারা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। আগামী দু’মাসে তাদের প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু হতে পারে। খবর এএফপির। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অধিকার গ্রুপগুলো। তারা প্রশ্ন তুলেছে, ফেরত নেয়ার পর তাদের কোথায় পুনর্বাসন করা হবে, তাদের সাবেক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে যেভাবে মুসলিমবিরোধী অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে তাতে ফেরত যাওয়ার পর ফের সহিংসতা মাথাচাড়া দেয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। নাগরিকত্ববিহীন রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বছরের পর বছর নিপীড়ন ও নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছে। সরকারই তাদের পরিকল্পিত উপায়ে কোণঠাসা করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের শরণার্থী বিষয়ক পরিচালক বিল ফ্রেডরিক বলেছেন, পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো ঠিক হবে না। আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শুরু করা গণহত্যা ও নিপীড়নকে ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযান বলে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের হিসেবে আনুমানিক ৬ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই রোহিঙ্গারা এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর শরণার্থী শিবিরে বাস করছে। বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা অনুযায়ী মিয়ানমার কিছু রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেবে। চুক্তির খুঁটিনাটি অবশ্য চূড়ান্ত হয়নি।
×