ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

কাকরাইল মসজিদে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

কাকরাইল মসজিদে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মসজিদের বাইরে এবং ভেতরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মতবিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মইনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কাকরাইল মসজিদে তাবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওসি জানান, মতাদর্শগত বিরোধের কারণে দুই গ্রুপের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুনরায় সংঘর্ষের আশঙ্কায় মসজিদের ভেতরে ও বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি জানান, আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করছি। বিকেলে আপাত বৈঠকে কিছুটা সুরাহা হয়েছে। তবলীগ জামাতের সাথীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে কাকরাইল মসজিদে মাসোয়ারা (বৈঠক) ছিল শূরা সদস্যদের। এ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবলীগ জামাতের সাথী মোঃ শরফুল ইসলাম খান জানান, এর আগে মাসোয়ারায় ঝামেলা হওয়ায় কোন বৈঠক হতো না। অনেকদিন পর মঙ্গলবার সকালে ১১ শূরা সদস্য নিয়ে মাসোয়ারা বৈঠক শুরু হয়। এ সময় ওয়াসিবুল ইসলাম ও জুবায়ের গ্রুপ একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করতে থাকে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রথমে ধাক্কাধাক্কি, এরপর হাতাহাতি হয়। এ সময় কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জুবায়ের গ্রুপের পক্ষ হয়ে ওয়াসিবুল ইসলামের গ্রুপকে ধাওয়া করে। তখন পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মাসোয়ারা কক্ষসহ কয়েকটি কক্ষে ভাংচুর করা হয়। সুমন নামে তবলীগের এক সাথী জানান, গত সপ্তাহে পাকিস্তানে তবলীগ জামাতের এক আয়োজনে ওয়াসিবুল ইসলাম ও হাফেজ মাওলানা জুবায়েরের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জুবায়ের সেখানে যান। মাওলানা জুবায়ের পাকিস্তান গিয়ে একটি জামাতে অংশ নিয়ে আহমেদ লাকশাহ নামের একজনের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি জুবায়েরের কাছে বাংলাদেশের তবলীগ জামাতের সদস্যদের জন্য একটি বার্তা দিয়েছিলেন। তবে জুবায়ের বাংলাদেশে এসে সে বার্তা জানাননি। তিনি জানান, শূরা সদস্যরা অন্য মাধ্যমে বার্তার বিষয়টি জানতে পারেন। মঙ্গলবার সকালে শূরা সদস্যদের বৈঠকের সময় বিষয়টি উঠে আসে। তখনই দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের পর ওয়াসিবুল ও মাওলানা জুবায়েরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্য না পেয়ে ফিরে আসেন। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।
×