ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রায়পুর পৌর শহরের অধিকাংশ পাকা সড়ক বেহাল

প্রকাশিত: ০০:৩৮, ১০ নভেম্বর ২০১৭

রায়পুর পৌর শহরের অধিকাংশ পাকা সড়ক বেহাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার প্রায় সবগুলো পাকা সড়ক ভাঙাচুরা ও খানাখন্দের সৃষ্টি যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বশির ভাগ সড়কে হেঁটে চলাও কঠিন হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই এসব বড় বড় খানাখন্দে পানি জমে পুকুরের মত হয়ে পড়ে। এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পপ্রতনিয়ত চরম ভোগান্তি ও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এ পৌরসভার বাসিন্দা ও যান চলাচলকারীদের। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কগুলোর এ দুরবস্থা হয়েছে। এ ছাড়াও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই শহরে প্রধান সড়কসহ পানিতে তলিয়ে যায় বাজারের প্রায় সড়ক। রায়পুর পৌর শহরটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শণ জীনের মসজিদ ও অপরূপ সৌন্দর্যের মেঘনার তীরবর্তী হওয়ায় এই শহরের সড়ক দিয়ে দেশের নানা প্রান্তের মানুষ চলাচল বেশি করে থাকে। বিশেষ করে নতুন বাজার মহিলা কলেজ সড়ক, উপজেলার মোড় থেকে-টিসি সড়ক, শাহজাহান চৌধুরী সড়ক, দেবীপুর, পূর্বলাছ, কেরোয়া, কাঞ্চনপুর, দেনায়েতপুর ও বামনীগামী অধিকাংশ সড়কেই কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়কে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও কাঞ্চনপুর-দেনায়েতপুর গ্রামের মধ্যবর্তী সংযোগ টিএনটি সড়কটির অবস্থা এতই খারাপ যে, দিনের বেলায়ও রিকশা উল্টে যাত্রী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। পৌর ৭নং ওয়ার্ডের মিরগঞ্জ সড়কটির অবস্থাও রয়েছে করুণ। রায়পুর পৌর মেয়র ইসমাইল খোকন বলেন, পৌরসভার উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট না পাওয়ায় উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। পৌরসভার যে আয় হয়, তা দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাই হয় না। সরকার বা বিদেশি সংস্থার বড় সাহায্য ছাড়া এসব সড়ক এক সঙ্গে সংস্কার করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে তিনি জানান ইতোমধ্যে ৯টি সড়কের ট্রেন্ডার দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন ভুইয়া বলেন, প্রতি বছরই সড়ক সংস্কার করা হয়। পরিমাণ মতো অর্থ বরাদ্দ না আশায় এক সঙ্গে সংস্কার করা সম্ভব হয় না।
×