ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর বিমানবন্দর কেন্দ্রিক অভিনব প্রতারক চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০২:৫৭, ২ নভেম্বর ২০১৭

রাজধানীর বিমানবন্দর কেন্দ্রিক অভিনব প্রতারক চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে অভিনব প্রতারক চক্রের সন্ধান পেয়েছে সিআইডি পুলিশ। বৃহস্পতিবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, মোহাম্মদপুর থানার মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে নতুন ও অভিনব প্রতারক চক্রের সন্ধান পান তারা। চক্রটি এভাবে বিদেশগামী যাত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি জানান, বুধবার গভীররাতে ওই চক্রের হোতা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষী মোঃ জাবেদসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যরা হচ্ছেন, বিকাশ এজেন্ট মোঃ ইউসুফ ও মেহেদী হাসান। জাবেদকে বিমানবন্দর থেকে ও দুই বিকাশ এজেন্টকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল জানান, গত ১৭ মার্চ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পার্কিং এলাকায় মোহাম্মদপুর এলাকার আবুল বাশারের সাথে প্রতারক জাবেদের পরিচয় হয়। ছেলেকে বিমানবন্দরে ঢুকিয়ে দিয়ে ফেরার পথে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি গার্ড জাবেদের সাথে বাশারের বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। এসময় বাশারের ছেলে ও তাদের পরিবারের বেশ কিছু তথ্য নিয়ে নেয় জাবেদ। বাহরাইন যাওয়ার জন্য বাশারের ছেলে বিমানে উঠার পরপরই মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বাশারকে ফোন করে জাবেদ জানায় তার ছেলে বিমানবন্দরের ভেতরে সমস্যায় পড়েছে। কিছু টাকা লাগবে। ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ও কোন ঝামেলায় যেন না পড়ে সেজন্য জাবেদের পরামর্শে বাশার ৩৬ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন। পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল জানান, পরে বাহরাইনে ছেলের সঙ্গে কথা বলে বাশার জানতে পারেন সেদিন বিমানবন্দরে কোন সমস্যা হয়নি। মোল্লা নজরুল জানান, অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির’ জাবেদ নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করায় বিমানবন্দরে তার পরিচিতি আছে। তিনি জানান, বিদেশগামী যাত্রী বা বিমানবন্দরে এগিয়ে দিতে আসা পরিবারের সদস্যদের সাথে কৌশলে সখ্যতা গড়েন। পরে তাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে জাবেদ। এরপর যাত্রী বিমানে উঠার পরপরই স্বজনদের ফোন করে সমস্যার কথা বলে এভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সিআইডি এই কর্মকর্তা জানান, এরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল। গ্রেফতারের পর জাবেদ এক হাজারের বেশি যাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। নির্ধারিত বিকাশ এজেন্টের মাধ্যমে সে টাকা নিত। এসব বিকাশ এজেন্ট এই চক্রেরই সদস্য। এরকম আরও কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে তারা কাজ করছেন।
×