ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে আজ শুরু হতে যাচ্ছে ছয় দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা

প্রকাশিত: ০২:৪৬, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

রাজধানীতে আজ শুরু হতে যাচ্ছে ছয় দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের উৎপাদন ও উৎপাদনকারীদের উৎসাহিত করতে রাজধানীতে রবিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ছয় দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা-২০১৭। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হওয়া এই মেলা শেষ হবে আগামী ৩ নবেম্বর। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত চলা এই মেলা থাকবে সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত। শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেলা আয়োজনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান। আয়োজকরা জানান, এতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ইনস্টিটিউট, আইটি ও সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৯০ টি প্রতিষ্ঠানের ১৩৩ টি স্টল স্থান পাবে। মেলায় অংশ নিবে বিদেশী প্রতিষ্ঠানও। এছাড়াও দারিদ্র বিমোচন, মানব মর্যাদা ও উন্নয়ন বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে ৬ টি সেমিনার। সন্ধ্যায় থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। আর রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, মানুষের কল্যাণে কাজ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। কারণ স্বাধীনতার মূল প্রবন্ধে উল্লেখ রয়েছে, মানুষ ও মানবিকতার মূল লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা। তাই উন্নয়ন মেলায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রির পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করছি। প্রতি ২ বছর পর পর এই মেলার আয়োজন করে থাকি আমরা। তিনি বলেন, ১৯৯০ সালে মাত্র ২৩টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে মাত্র ১০ হাজার ১২ জন উদ্যোক্তাকে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ শুরু করে পিকেএসফ। বর্তমানে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উন্নীত হয়েছে ২৭৭টিতে। এসব সংস্থার ৮ হাজার ৬২৮টি শাখার মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি আরও বলেন, পিকেএসএফ এখন প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ ১৫ হাজার প্রান্তিক মানুষের সঙ্গে কাজ করছে। আগে পিকেএসএফ ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করত না। আর এখন ১৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে জড়িত। পিকেএসএফ চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বের অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন হয় না। আমার গবেষণায়ও এ বিষয়টি উঠে এসেছে। এ কারণেই আমরা মানুষের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঋণ নিল, আবার ঋণ আদায় হল- এটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এখন আমরা ঋণ নেওয়া লোকটির কী হল, তার দিকে নজর দিচ্ছি। তাই এখন আমরা টাকা দিয়েই ক্ষান্ত থাকি না, বরং ঋণ গ্রহীতাকে আগে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। ওই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল করিম ও উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসীম উদ্দিন।
×