ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুআসের উদ্যোগে টেকনাফে ফ্রি হাসপাতাল স্থাপন

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ২১ অক্টোবর ২০১৭

মুআসের উদ্যোগে টেকনাফে ফ্রি হাসপাতাল স্থাপন

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ অবহেলিত জনপদ টেকনাফের উপকূলীয় অঞ্চল বাহারছড়ায় ইউরোপ ভিত্তিক সংস্থা এমওএএস এর (মুআস) ব্যতিক্রমধর্মী কার্যক্রম বহুমুখী সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন ফ্রি হাসপাতালে খুশি মনে চিকিৎসা নিচ্ছে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা। বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারের উত্তর পাশে স্থাপন করা হয়েছে সংস্থার অস্থায়ী ফ্রি এ হাসপাতালটি। হাসপাতালটি প্রতিষ্টার পর থেকে তাদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেখে স্থানীয় সাধারণ জনগণ, মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীরা মুআস এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি মুআসের কো-অর্ডিনেটর মো: শহীদ উল্লাহর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় উপকূলীয় অবহেলিত জনপদ বাহারছড়ার শামলাপুরে এই ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপিত হওয়ায় স্থানীয় গণমানুষের মধ্যে উল্লাস দেখা দিয়েছে। মুআসের চেয়ারম্যান মিসেস রেজিনা সাংবাদিকদের বলেন, বিপন্ন রোহিঙ্গাদের পাশাপশি এলাকার হতদরিদ্র মানুষকেও ফ্রি চিকিৎসা দেবে মুআস। সকলের সহযোগিতা পেলে আমাদের পরিধি আরও বাড়বে। কো-অর্ডিনেটর শহীদ উল্লাহ বলেন, স্বয়ং সম্পূর্ণ একটি হাসপাতালের সেবা এই চিকিৎসা ক্যাম্পে ফ্রি পাওয়া যাবে। বিদেশী ডাক্তার মি. জিয়াদার নেতৃত্বে ৯ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, প্যারামেডিক, ফার্মাসিষ্ট, সংশ্লিষ্ট বিভাগে আলাদা নার্স সার্বক্ষণিক সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। এতে সংযুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাব, আলট্রাসনোগ্রাফি, ইকোগ্রাফি, ইসিজি, ডেলিভারী রুম, গর্ভবতী মহিলাদের অপারেশন এবং অসহায় রোগীদের জন্য রয়েছে ২৪ ঘন্টা ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। এর আগে গত শনিবার বিকেলে ৩টি শেডের সমন্বয়ে স্থাপিত অত্যাধুনিক এ হাসপাতালের আনুষ্টানিক উদ্বোধন করেন ‘মুয়াস’ এর প্রতিষ্টাতা মি. খ্রীষ্টুফার কেট্রামবূনে এবং মুআস এর চেয়ারম্যান মিসেস রেজিনা। সেনা বাহিনীর পক্ষে মেজর মো: ইউসুফ, ক্যাপ্টেন ডা: শুভ, মুআসের কো-অর্ডিনেটর মো: শহীদ উল্লাহ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পণা কর্মকর্তা শ্র“তি পূর্ণ চাকমা, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজ উদ্দিন ওসময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্রে জানা যায়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভূক্ত দেশে মুআসের ব্যাপক কার্যক্রম রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়া অসংখ্য মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছে মুআসের উদ্ধারকারী জাহাজ ফোনিক্স। মূলত: তারা বেশির ভাগ সাগরেই কাজ করে থাকে। ফোনিক্স জাহাজটি ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভূমধ্য সাগরে ১৪ হাজার বাংলাদেশীসহ ৫০ হাজারেরও বেশী মানুষকে উদ্ধার করেছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
×