ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বেশির ভাগ মাদকের সিন্ডিকেট সনাক্ত করা হয়েছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:৩৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বেশির ভাগ মাদকের সিন্ডিকেট সনাক্ত করা হয়েছে ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ দেশের বেশিরভাগ স্থানেই মাদকের সিন্ডিকেট সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি নতুন নতুন লোক মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিধায় সিন্ডিকেটের তালিকা প্রনয়নের কাজ চলমান রয়েছে। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে মাদকের সরবরাহ বন্ধে সরকার বিভিন্নমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ দেশের আইনশৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত সকল বাহিনী মাদক ব্যবসায়ি এবং অবৈধ পাচারকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ কার্যক্রম জোরদার করতে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৫৯ হাজার ৭৮৩ টি মামলা দায়ের করে ৭৫ হাজার ৩২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিনা বিচারে কোন বন্দি দেশের কারাগারগুলিতে আটক নেই। তবে ৫ বছর বা তদুর্দ্ধ সময় ৫৬৬ জন বন্দির বিচার কাজ চলমান রয়েছে। কারাবন্দিদের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০ আগষ্ট আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থতি নিয়ে মানিকগঞ্জ-২ আসনের এমপি মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, শান্তিপুর্ন ও স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিতকরণ। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারি সিদ্ধান্তের ফলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর নিরলস প্রচেষ্টায় যে উন্নয়ন হচ্ছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকার দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এ নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, হামলা, অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোপুর্বে জঙ্গী, সন্ত্রাসী, নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্বক কার্যকলাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কর্মকান্ড ও গতিবিধি সম্পর্কে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জঙ্গী ও সন্ত্রাসীসহ সকল অপরাধীদের কর্মকান্ড রোধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, দেশে অবস্থানরত কূটনৈতিক, বিদেশী নাগরিক, পর্যটন এলাকায় ভ্রমণকারি বিদেশী পর্যটকসহ গুরুত্বপুর্ন ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হযেছে। তিনি জানান, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গঠন করে জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
×