ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্সের চাকা চুরি

প্রকাশিত: ০৩:০৮, ২৫ এপ্রিল ২০১৭

ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্সের চাকা চুরি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের সরকারি এ্যাম্বুলেন্সের চাকা চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দূর্ভোগে পড়েছেন অসহায় দুস্থ রোগীরা। জানা যায়, ১শ’ শয্যা বিশিষ্টি ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের দুইটি এ্যাম্বলেন্সের মধ্যে একটি ফিটনেসবিহীন হওয়ায় বেশির ভাগ সময় পড়ে থাকে। অপরটি সচল থাকলেও সপ্তাহ খানে আগে দূর্বৃত্তরা এ্যাম্বুলেন্সের একটি চাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। ফলে এ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের সামনে খোলা আকাশের নিচে অচল পড়ে রয়েছে। হাসপাতালের সামনে প্রায় ১৫টি প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সে রয়েছে। এই সকল এ্যাম্বুলেন্সের কতিপয় কর্মচারি নিজের ব্যবসা ভাল রাখার জন্য সরকারি হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সের চাকা চুরি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সেটি কয়েক সপ্তাহ ধরে অচল হয়ে পড়ে থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমলে নিচ্ছে না বলে সাধারণ রোগীরা অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার বেগুন বাড়ি এলাকার মানিক হোসেনের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত। চিকিৎসক তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে। কিন্তু এ্যাম্বুলেন্সের অভাবে রোগীকে নিয়ে যেতে বিলম্ব হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রংপুরের উদ্যোগে রওনা দেন তিনি। হাসপাতালে আসা শাহাদাত হোসেন জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে শুধু এ্যাম্বুলেন্স নয় আরও অনেক কিছুই ঘটছে। এতে সাধারণ রোগীদের দূর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সে রংপুর মেডিকেল কলেজে যেতে ৩ হাজার টাকার বেশি গুনতে হচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে অনেক বেশি। এত বড় হাসপাতালে সর্বনিন্ম ৫টি সরকারি এ্যাম্বুলেন্স রাখার জন্য তিনি সরকারের প্রতি দাবি জানান। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সের এক ড্রাইভার জানান, সরকারি হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সটির কেউ তদারকি করে না। দুই জন ড্রাইভার থাকলেও তারা নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন। এ কারণে এ্যাম্বুলেন্সের চাকা চুরি হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। হাসপাতালের এ্যাম্বলেন্সের ড্রাইভার সাইফুল ইসলাম জানান, কে বা কারা এ্যাম্বুলেন্সের চাকাটি চুরি করে নিয়ে গেছে তা জানা যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মোসনেদারা বেগম জানান, এ্যাম্বুলেন্সের চাকাটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
×