ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাবুল আক্তারকে নিয়ে এ ধরনের খবর মিডিয়া কেন প্রচার করে-ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ০১:০১, ২৬ জুন ২০১৬

বাবুল আক্তারকে নিয়ে এ ধরনের খবর মিডিয়া কেন প্রচার করে-ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চট্রগ্রামে বহুল আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে স্বামী এসপি বাবুল আক্তারকে জড়িয়ে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রচারকে ইঙ্গিত করে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, মিডিয়া কেন এ ধরনের খবর প্রচার করে তা আমার জানা নাই। রবিবার দুপুরে ধুলাইপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ওয়ারি জোনের উপ-কমিশনারের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, মিডিয়ায় অনেক কিছুই প্রচার হয়। এতে সব সত্য বা সব মিথ্যা তা নয়। মিতু হত্যাকাণ্ডে একটি মামলা হয়েছে। তাতে কয়েকজন গ্রেফতার আছে। ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার হয়েছে। তারপরও বাবুল আক্তারকে নিয়ে মিডিয়া কেন এ ধরনের খবর প্রচার করে? বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, এ মামলার বাদী বাবুল আক্তার নিজেই একজন অন্যতম প্রধান সাক্ষী। তাই তাকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর এটা করেছে চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ারী উপ-কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসরাম, যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান, শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক। শুক্রবার গভীররাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে আসা হয় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। সেখানে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের সাথে তার রাতভর আলোচনা হয়। তবে কী কথা হয়েছে। সে ব্যাপারে জানা যায়নি। শুক্রবার রাত সোয়া একটার দিকে পুলিশ বাবুল আক্তারের শ্বশুরবাড়ি খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া ভ’ইয়াপাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর গলির ২২০/এ নম্বর দোতলা বাড়ি থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে ডেকে নিয়ে যায়। বাবুল আক্তারকে যখন তার শ্বশুড়ালয় থেকে আনা হয় তখন খিলগাঁও থানার ওসি মঈনুল হোসেন ও মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। রাত পৌনে ২টার দিকে এসপি বাবুল আক্তারকে ডিবি কার্যালয়ের নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় বাবুল আক্তার একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও এত রাতে তাকে কেন ডেকে নেয়া হল, পরিবারের সঙ্গেই কেন বাবুল আক্তারের যোগাযোগ ছিন্ন করা হলো এসব প্রশ্ন ছিল সবার মনেই। গভীর রাতে বাবুল আক্তারকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর থেকেই জন্ম নিতে থাকে নানা নাটকীয়তা। বাবুল আক্তার গ্রেফতার হওয়া থেকে শুরু করে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকারসহ নানা খবর ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার বিকেল ৪টা ১৯ মিনিটে ডিবি ডিসি (পূর্ব) মাহবুবুল আলমের গাড়িতে করে বাবুলকে তার শ্বশুর বাড়ি খিলগাঁওয়ে মেরাদিয়ায় পৌঁছে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ৫ জুন নগরীর জিইসি’র মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পরদিন পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তার বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই)। তবে মামলার মূল তদন্তে আছে চট্রগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। যদিও সবগুলো সংস্থা মিলে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার তদন্ত করে যাচ্ছেন।
×