ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১

জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস

জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন। সেখানে তিনি দেশে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্র মেরামতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করবেন। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলে তিনি তা গ্রহণ করেন। ৮ আগস্ট তিনি দায়িত্ব নেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার প্রধান হিসেবে এবারই প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, এবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দেবেন, সেখানে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরা হবে। ছাত্ররা প্রাণের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে কীভাবে সফল অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে এবং মানুষের মধ্যে নতুন স্বপ্নের বীজ বপন করেছে, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে তার প্রতিফলন থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বিজয়ের নতুন যাত্রায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ড. ইউনূসের বক্তব্যে সেসব তুলে ধরা হবে বলে জানান শফিকুল আলম। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার একনায়কতান্ত্রিক শাসনের অবসানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের দর্শন বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন অধ্যাপক ইউনূস। নিজেদের গর্বিত ও মর্যাদাশীল দেশের জনগণ হিসেবে বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ কীভাবে নিজেদের তুলে ধরবে, সেটিই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা। শফিকুল আলম জানান, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে দেশের ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি ভূরাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে উদাত্তভাবে আহ্বান জানাবেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এছাড়া তিনি আরও কিছু সাইড ইভেন্টেও অংশ নেবেন।

স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে বাড়ছে চাপ

ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে বাড়ছে চাপ

দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে ২১ জনের মৃত্য হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১ জনে। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চার হাজার ২২৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩ হাজার ২৩৭ জন। গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু এবং ৫৪৮ জন হাসপাতালে, ১৫ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ৪৮৬ জন হাসপাতালে, ১৬ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ২৬৭ জন হাসপাতালে, ১৭ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৮৭২ জন হাসপাতালে, ১৮ সেপ্টেম্বর ছয়জনের মৃত্যু এবং ৮৬৫ জন হাসপাতালে, ১৯ সেপ্টেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৮৮৭ জন হাসপাতালে এবং ২০ সেপ্টেম্বর দুইজন মৃত্যু এবং ২৯৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ হাজার ২৬৬ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭৭ জন। মারা গেছেন ১২৪ জন। চিকিৎসকরা জানান, জুলাই-অক্টোবর ডেঙ্গুর মৌসুম। সময়ের সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম কম থাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। যার ফলে ডেঙ্গুরোগী বাড়ছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, প্রতিদিনই ২০ থেকে ৩০ জন নতুন রোগী আসছেন। তাই শয্যার চেয়েও রোগীর সংখ্যা বেশি। সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে যা বললেন ফখরুল

সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে যা বললেন ফখরুল

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটা ভালো কথা। তার মানে হলো, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, সেসব এলাকাতেই সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া দরকার। কিন্তু যেসব এলাকা শান্তিপূর্ণ আছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন; সেখানে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা সমীচীন হবে না, বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করব, তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। কখনই এমন কোনো ব্যবস্থা নেবেন না যা সামগ্রিকভাবে তাদের জন্য বুমেরাং হবে, দেশের মানুষের জন্য বুমেরাং হবে।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশাবাদী অন্তর্বর্তী সরকার সব জঞ্জাল দূর করে দেশে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যেখানে সুষ্ঠু উপায়ে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের পার্লামেন্ট তৈরি হবে। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই, আমরা যেন সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখতে পাই। গণতান্ত্রিক মানে নির্বাচিত সরকার দেখতে পাই, পার্লামেন্ট দেখতে পাই। আমি জানি আমার কথাগুলো অনেকের মনঃপূত নাও হতে পারে। কিন্তু সত্য উচ্চারণ করা আমার দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব থেকেই আমি এই কথাগুলো উচ্চারণ করছি।’ মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে সবার সমর্থনে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন অল্প সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের অপরাধগুলোর বিচার করতে। এই অপরাধের মূল হোতা শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কয়েক দিনে তো গেছেই, তারও আগে ২০১২ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই অত্যাচার। বিএনপির সাত শর বেশি মানুষকে গুম করে আয়নাঘরে নিয়ে গেছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ, কৃষক, যারা কোনো দিন আদালতের প্রাঙ্গণ পর্যন্ত দেখেননি; তাদের নিয়মিত আদালতে যেতে হয়েছে। গত ১০-১২ বছরে আদালতে যেতে যেতে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’ অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলামসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

waltonbd
waltonbd
adbilive
adbilive
গণপিটুনিতে দুজন হত্যার ঘটনায় যা বললেন হাসিনাপুত্র জয়

গণপিটুনিতে দুজন হত্যার ঘটনায় যা বললেন হাসিনাপুত্র জয়

ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়ালেও কয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে ওই ঘটনায় একটি পোস্ট দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘দেশের সেরা দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত রাতে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মেরে ফেলার আগে খুনিরা তাকে ভাত খাইয়েছে। আর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে হত্যা করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। যতদূর জানা গেছে, তাকে প্রকাশ্যে তিন দফায় মারা হয়। সবশেষ, শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ জায়গা প্রক্টর অফিসের সামনে নিয়ে খুনিরা তাকে হত্যা করে।’ এ ঘটনায় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি লিখেন, সব খুনিদের ছবি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের কয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? বুধবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলের সামনে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন (৩২) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে একদল শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। অপরদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। পরে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

কুড়িগ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে  ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর

কুড়িগ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে  ভাঙন রোধের চেষ্টা গ্রামবাসীর

ভাঙন রোধে সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় নিজ উদ্যোগে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ বারবার সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাননি তারা। এ অবস্থায় নিজেদের চাঁদার টাকায় প্লাস্টিকের বস্তা কিনে বালু ভরে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামের ভূরঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদীর শাখা নদী কালজানি পাড়ের মানুষের।  কেউ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরছে বালু, কেউ ফেলছেন নদীর পাড়ে। এভাবে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষার  চেষ্টা ভাঙনকবলিতদের। গত ৪ মাস ধরে দুধকুমার নদের অব্যাহত ভাঙন চলছে কুড়িগ্রামের ভূরঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তর্বতী শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে। এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে তিন শতাধিক ঘরবাড়িসহ একরের পর একর ফসলি জমি। এ অবস্থায় ভাঙন কবলিতরা জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় পানি উন্নয়ন  বোর্ডে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি তারা। পরে কোনো উপায়ন্ত না  পেয়ে নিজেদের অর্থ দিয়ে  সেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধ করে সম্পদ রক্ষার চেষ্টা তাদের। উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা এলাকার মনছেদ আলী বলেন, আমরা এলাাকার ভাঙন রোধে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়েছি অবশেষে আমরা নিজেই কাজ করছি। গ্রামবাসীর কাছ  থেকে চাঁদা তুলে প্লাস্টিকের বস্তা কিনে বালু ভরে নদীতে  ফেলছি। তার পরেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের সাবেক  চেয়ারম্যান একেএম ফরিদুল হক জানান, এই এলাকার দুধকুমার নদী গত ২-৩ মাস ধরে অবিরত ভাঙছে। প্রায় ৩শ’ ওপর বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। কয়েকশ’ হেক্টর ফসলি জমি ফসলসহ নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন রোধ করা না হলে তিনটা বিওপি ক্যাম্প বিদ্যুৎ  পোল সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী  মো. রাকিবুল হাসান শিলখুড়ি এলাকায় দুধকুমারের ভাঙনসহ অন্যন্য নদীর ভাঙনের কথা স্বীকার করে জানান, বরাদ্দ কিংবা অনুমতি না থাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না তারা। সরকারি  কোনো স্থাপনা হলে কিছুটা কাজের অনুমতি পান বলে জানান তিনি। জেলায় গত চার মাসে দুধকুমারসহ ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়েছে সহস্রাধিক পরিবার।  

ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের টানাপোড়েনের অবসান!

ঐশ্বরিয়া-অভিষেকের টানাপোড়েনের অবসান!

বিষয়টি গুঞ্জন হলেও ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিষেক বচ্চনের ভক্তদের জন্য মন ভালো হওয়ার মতো খবর। বলা তো যায় না, ঘটনা সত্যিও হতে পারে। সব মান-অভিমান ও অশান্তি ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন তারা- এখন এমনটাই বলিপাড়ায় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, তাহলে কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে? আবারও কি তাহলে ঐশ্বরিয়া-অভিষেক এক হয়ে যাচ্ছেন? তারা কি জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন? অভিমান পর্ব শেষে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার মনে নতুন করে  প্রেম  জেগেছে। বলিউডে কান পাতলেই তাদের নিয়ে নতুন নতুন মুখরোচক এমন আলোচনা  শোনা যাচ্ছে। এবার অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার গুঞ্জনের ব্যাপারটা একটু খোলাসা করেই বলা যাক।

একদিনে ৬ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল চীন, রহস্য কী?

একদিনে ৬ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল চীন, রহস্য কী?

একদিনে ছয়টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে চীন। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) নতুন স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জিনহুয়ার বরাতে আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে। নতুন স্যাটেলাইটগুলো জিলিন-১ কুয়ানফু-০২ বি ০১-০৬ সিরিজের। উত্তর শানসি প্রদেশের তাইয়ুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে মহাকাশে সেগুলো পাঠানো হয়। এসব স্যাটেলাইট চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এবং উৎক্ষেপিত। লং মার্চ-২ডি ক্যারিয়ার রকেটের মাধ্যমে স্যাটেলাইটগুলোকে মহাকাশে ছোড়া হয়। যা সফলভাবে পূর্বনির্ধারিত কক্ষপথে প্রবেশ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। চীনের সূত্র বলছে, এটি দেশটির লং মার্চ ক্যারিয়ার রকেট সিরিজের ৫৩৬তম ফ্লাইট মিশন। এর আগে চীন দুটি নতুন নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম উৎক্ষেপণ করে। সেগুলোও সফলভাবে মহাকাশে পৌঁছেছে। সেটি ছিল বেইডউ নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (বিডিএস)। বিডিএস একটি স্যাটেলাইট-ভিত্তিক রেডিও নেভিগেশন সিস্টেম যা চীনের ন্যাশনাল অ্যাডমিনের মালিকানাধীন এবং পরিচালিত। সম্প্রতি আরও কয়েকটি দেশ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে ইরান ও তুরস্কের পদক্ষেপ গত মাসে আলোচনায় এসেছে। সম্পূর্ণ নিজেদের প্রযুক্তি ও উপাদানে তৈরি যোগাযোগ স্যাটেলাইট ‘তার্কসাত-৬এ’ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে আঙ্কারা। উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে স্পেসএক্স কোম্পানির তৈরি ফ্যালকন ৯ মডেলের একটি রকেট। স্পেসএক্স মূলত মহাকাশযান এবং মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রস্তুত করে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ‘তার্কসাত ৬এ’-এর উৎক্ষেপণকে দেশটির জাতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণ প্রকল্পের ইতিহাসের ‘নতুন অধ্যায়’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এই স্যাটেলাইটটির মোট উপাদানের ৮১ শতাংশ উপদান এবং সফট্ওয়্যার তুরস্কের নিজস্ব। ‘তার্কসাত ৬এ’ হলো তুর্কি জাতির সক্ষমতা ও যোগ্যতার একটি উজ্জ্বল নজির। অপরদিকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রযুক্তি ও সামরিক খাতে নিজেদের একের পর এক সফলতার কথা জানান দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরাশক্তি ইরান। আত্মঘাতী ড্রোন থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে তেহরানের সফলতা এরই মধ্যে বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের। এর মধ্যেই নতুন এক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ইরান, যা পশ্চিমাদের আরেকটি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর দ্বারা নির্মিত একটি রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে তেহরান। মহাকাশের কক্ষপথে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের এটি তেহরানের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা বলে দাবি করা হয়েছে। দেশটির মহাকাশ বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন যে, স্যাটেলাইটটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পরিভ্রমণ করে কক্ষপথে পৌঁছেছে।

ইসরাইলি দখলদারিত্ব অবৈধ ঘোষণা করে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

ইসরাইলি দখলদারিত্ব অবৈধ ঘোষণা করে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কর্তৃক ১৯ জুলাইয়ে দেওয়া পরামর্শমূলক মতামতের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান দশম বিশেষ জরুরি অধিবেশনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাবটি বাংলাদেশসহ ৫৩টি দেশ কো-স্পন্সর করে। স্থানীয় সময় বুধবার প্রস্তাবটি ভোটের জন্য উপস্থাপিত হলে ১২৪টি দেশ এটির পক্ষে ও ১৪টি দেশ বিপক্ষে ভোট প্রদান করে এবং ৪৩টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। কো-স্পন্সর হিসেবে বাংলাদেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য  জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের সাম্প্রতিক পরামর্শমূলক মতামতের আলোকে, প্রস্তাবটিতে ইসরাইলকে ফিলিস্তিন ভূখ-ে তার বেআইনি উপস্থিতি বন্ধ করা এবং এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গাজায়  ইসরাইলের সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এটিতে জানানো বিভিন্ন আহ্বানের মধ্যে রয়েছে, অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখ-ে  ইসরাইলের অন্যায় কাজের কারণে যে সব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণে একটি আন্তর্জাতিক মেকানিজম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ ছাড়াও এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের ওপর রিপোর্ট পেশ করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে অনুরোধ জানানো হয়।  বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা বিষয়ক চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের আলোকে ইসরাইল দ্বারা সংঘটিত নৃশংস অপরাধের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বানও জানানো হয় প্রস্তাবটিতে। একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে আগামী এক বছরের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় প্রস্তাবটির মাধ্যমে। বস্তুত দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে প্রস্তাবটি। এটি উপস্থাপন উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান এবং সব সদস্য রাষ্ট্রকে এটি মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি গাজায় চলমান নৃশংসতা এবং হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু নিয়ে বাংলাদেশের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব ২৭২৮-এর আলোকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।

সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড

সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড

সম্প্রতি সিটি ব্যাংক অভাবনীয় সব সুবিধা নিয়ে বাজারে আনল ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড। এই প্রিমিয়াম ক্রেডিট কার্ডে থাকছে ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের এয়ার টিকিট ওয়েলকাম ভাউচার; বছরে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক; দেশের প্রথম সারির পাঁচতারকা হোটেলগুলোতে বাই-ওয়ান-গেট-ওয়ান-ফ্রি বুফে অফার; ঢাকার আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে সিটি ব্যাংকের ৩টি লাউঞ্জে আনলিমিটেড প্রবেশাধিকার; বছরে আটবার বিদেশে ফ্রি ব্যবহার সুবিধা সম্পন্ন প্রায়োরিটি পাস কার্ড; ডাবল বেনিফিট বিমা সুবিধা; ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্রি মিট-অ্যান্ড-গ্রিট সেবা ইত্যাদি।

ডলার বাজারে ফিরছে স্বস্তি

ডলার বাজারে ফিরছে স্বস্তি

বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর অবস্থানের কারণে এবার ডলার বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে। এ ছাড়া রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ে আশানুরূপ প্রবৃদ্ধির ফলে রিজার্ভের পতন ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে নতুন করে ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি মিলেছে। তাই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করার কারণে এখন থেকে ধীরে ধীরে রিজার্ভের উন্নতি হবেÑ এমন প্রত্যাশা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, আইএমএফের বিপিএম-৬ হিসাব মান অনুযায়ী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫২ কোটি ২১ লাখ ডলার। এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানিয়েছেন, প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধিতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে। গত জুলাই থেকে আগস্টে রেমিটেন্সের প্রবাহ বেড়েছে।