ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

আজ রাতে ফরাসী লীগ ওয়ানের ম্যাচে মাঠে নামছে পিএসজি

সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন নেইমার

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন নেইমার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নেইমার ও এডিনসন কাভানির মধ্যকার অনাকাক্সিক্ষত বিরোধে বেশ বেকায়দায় আছে ফরাসী ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। ক্লাবটি চাচ্ছে যেন দ্রুত বিষয়টির সমাধান হয়। এ লক্ষ্যে বড় একটা ধাপ পেরিয়েছে তারা। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধতিতে জানা গেছে, অপ্রত্যাশিত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে কাভানিসহ পিএসজির সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। এতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছেন নেইমারের স্বদেশী ও পিএসজি অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা। জানা গেছে, দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পিএসজি কর্তৃপক্ষ সবাইকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। নেইমারও নাকি বুঝতে পেরেছেন বিষয়টি নিয়ে তিনি বেশি বাড়াবাড়ি করেছেন। তাইতো থিয়াগো সিলভার প্রস্তাব মেনে নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। কাভানিরও নাকি মন গলতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে লিও’র বিরুদ্ধে ফরাসী লীগ ওয়ানের ম্যাচে স্পট কিক ও ফ্রিকিক নিয়ে মাঠে কথা কাটাকাটি হয় নেইমার ও কাভানির। ২-০ গোলে পিএসজির জয়ের চেয়েও বড় হয়ে যাওয়া এই ঘটনা গড়িয়েছে ড্রেসিংরুমেও। পিএসজি কোচ উনাই এমেরি পরে সংবাদ সম্মেলনে দুই খেলোয়াড়কে বিষয়টি সমাধান করতে বলেন। উরুগুয়ে স্ট্রাইকার কাভানির সাবেক জাতীয় দল সতীর্থ ও ২০১০ বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন বল’ জয়ী দিয়াগো ফোরলান এক্ষেত্রে পিএসজির আরেক ব্রাজিলিয়ান দানি আলভেজের দোষটাই বড় করে দেখছেন। ফোরলান বলেন, ঝামেলাটা কাভানি আর নেইমারের মধ্যকার, সব দলেই এটা হয়। কিন্তু আলভেজের কা-কারখানার মানে বুঝতে পারিনি। সে কাভানির থেকে বল কেড়ে নিয়ে নেইমারকে দিল যেন সে তার (নেইমারের) পেছনের পকেটেই থাকে। ফোরলানের এমন কথায় আলভেজ আবার চটেছেন। এই ঘটনায় রেষারেষি কতটা কাটল তা তো মাঠে খেলাতেই বোঝা যাবে। আজ ফরাসী লীগ ওয়ানে এমপেলিয়েরের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে পিএসজি। এর আগে নেইমারের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পিএসজিকে নিয়ে ইতিহাস গড়তে সবাইকে এক সুতোয় তাকেই তো গাঁথতে হবে। এর প্রমাণও মিলতে শুরু করেছে। কেননা পিএসজির অনুশীলনে পাশাপাশি নেইমার ও কাভানিকে বেশ উৎফুল্লই মনে হয়েছে। অনাকক্সিক্ষত এ বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন পিএসজির কোচ উনাই এমেরি। পিএসজি কোচ বলেন, তারা দু’জন খুবই প্রতিদ্বন্দ্বী খেলোয়াড়। দু’জনই চায় সবার আগে সেরাটা দলের জন্য দিতে। এরপর আসছে ব্যক্তিগত বিষয়। স্কোয়াডের মধ্যে চমৎকার একটি পরিবেশ বিরাজ করছে। ম্যাচ পরবর্তী সময়ে একটু আবেগের বিষয় থাকে। সেটি নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলতেই পারে। সাধারণ মানুষ মনে করছে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তারা স্বাভাবিক অবস্থায় আছেন। যে কোন ম্যাচের পরই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাময়িক মন কষাকষি হয়েই থাকে। কিন্তু সেটি কখনও মাত্রা ছাড়ায় না কিংবা দলের পরিবেশ নষ্ট করে না। আশাকরি সব ঠিক হয়ে যাবে।
×