স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শারীরিক কসরত ও মনোমুগ্ধকর কলাকৌশল প্রদর্শনের মাধ্যমে সবার হৃদয় কেড়ে নেয়া এবং শৈল্পিকভাবে নান্দনিক সৌন্দর্যের আকর্ষণীয় উপস্থাপন সহজ কাজ নয়। তবে এটিকে যত পরিস্ফুট করা সম্ভব হয় ততই চোখ জুড়িয়ে যায়। সুন্দর দেহবল্লবীর ও আকর্ষণীয় সৌন্দর্যের ঝলসানো পোশাক-পরিচ্ছদ এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে এসবই মুখ্য। রাশিয়ার মেয়েরা বরাবরই এই ইভেন্টে সফল। এবার রিও অলিম্পিকেও সেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখাল তারা। শেষদিনে মেয়েদের রিদমিক জিমন্যাস্টিকসের অল-এরাউন্ড ইভেন্টে গ্রুপ ফাইনালে মনোলোভা নৈপুণ্য দেখিয়ে স্বর্ণ জিতেছে রাশিয়ার মেয়েরা। এবার নিয়ে টানা ৫ বার অলিম্পিকের এ ইভেন্টে স্বর্ণ জয় করল রাশিয়ার মেয়েরা।
রাশিয়ান সুন্দরী তরুণীরা চোখ ঝলসে দিয়েছেন তাদের দেহবল্লবীর ক্রিয়াকৌশল দেখিয়ে। বিমোহিত দর্শকরা বিমুগ্ধ-হতবাক হয়ে নিশ্চুপ তাকিয়ে থেকেছেন। ছন্দময়তা, নিপুণ কারুকার্য, মনোলোভা শরীরি কলাকৌশল ও আকর্ষণীয় অঙ্গভঙ্গি প্রধান বিষয় রিদমিক জিমন্যাস্টিকসে। গ্রুপ জিমন্যাস্টে আরও কঠিন নিখুঁত ছন্দময়তা রাখা। তবে রাশিয়ান মেয়েরা এক্ষেত্রে বরাবরই সিদ্ধহস্ত। এমন একটি ইভেন্টে বিচারকদের মন জয় করা এবং দর্শকদের বিমুগ্ধ করা বেশ চ্যালেঞ্জের হলেও একেবারে অবলীলায় আরেকবার করে দেখাল রাশিয়ার মেয়েরা। যুগে যুগে অল-এরাউন্ড গ্রুপ জিমন্যাস্টিকসে রাশিয়াকে ছুঁতে পারেনি কেউ, একক আধিপত্য তারা ধরে রেখেছে গত চার অলিম্পিক ধরেই। এবারও ব্যতিক্রম হলো না। ৩৬.২৩৩ পয়েন্ট স্কোর করে স্বর্ণপদক জিতেছে ৫ জনের রাশিয়ার গ্রুপ। যদিও কোয়ালিফিকেশনে আকর্ষণীয় নৈপুণ্য দেখিয়ে শীর্ষে ছিল স্পেনের মেয়েরা। রাশিয়ান মেয়েরা দ্বিতীয় স্থান নিয়ে ফাইনালে ওঠে।
ফাইনালেও প্রথম রোটেশনে ১৭.৬০০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল তারা। কিন্তু দ্বিতীয় রোটেশনে দুরন্ত হয়ে ওঠে রুশ সুন্দরীরা। ১৮.৬৩৩ স্কোর নিয়ে সার্বিকভাবে শীর্ষে ওঠে। পিছিয়ে পড়ে স্প্যানিশ তরুণীরা। ৩৫.৭৬৬ পয়েন্ট স্কোর নিয়ে রৌপ্য জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। আর ২০১৪ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া বুলগেরিয়া সমান স্কোর নিয়েও প্রথম রোটেশনে পিছিয়ে থাকায় ব্রোঞ্জ লাভ করে। গত ২০ বছর অলিম্পিক পোডিয়ামে উঠতে পারেনি স্প্যানিশ রমণীরা। এবার তারা অল্পের জন্য স্বর্ণ হাতছাড়া করলেও খরা ঘুচিয়েছে রৌপ্য জয় করে। ১৯৯৬ সালে নিজেদের প্রথম গ্রুপ অল-এরাউন্ড ইভেন্টে অংশ নিয়েই রাশিয়াকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছিল স্পেন। এরপর আর হারেনি রাশিয়া। ২০০০, ২০০৪, ২০০৮ ও ২০১২ অলিম্পিকেও এই ইভেন্টের স্বর্ণ জয় করে রাশান তরুণীরা। এবারও সেটা ধরে রাখল তারা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: