স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতায় রাজধানী ঢাকায় আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ‘এডুকেশন মিট- ২০২১’। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সেরা সব বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্পর্কে জানাতেই ব্যতিক্রমী এ আয়োজন। ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের সহযোগিতায় এডুকেশন এক্সিলেন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে আগামীকাল শুক্রবার ও শনিবার গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে সকাল ১০ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত চলবে এডুকেশন মিট।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আয়োজনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকার স্টাডি ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচীর হেড অব ডিপার্টমেন্ট সন্দীপ গোয়েল এবং এডসিলের নির্বাহী পরিচালক ড. ঊত্তম বি সাপাতি। পরিচালনা করেন এডুকেশন এক্সিলেন্সের প্রধান নির্বাহী সামিরা ফারহাত আমিন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ শুক্রবার ওয়েস্টিন হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে এই আন্তর্জাতিক শিক্ষা মেলার উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এডুকেশন মিট প্রাঙ্গন সবার জন্য খোলা থাকবে সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। আরো জানা যাবে, স্টাডি ইন ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট (studyinindia.gov.in) এবং টোল ফ্রি +৯১১২০৬৫৬৫০৬৫ নম্বরে। ইমেইলঃ ([email protected] @gov.in)।
সন্দীপ গোয়েল বলেন, এডুকেশন মিট বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরকে দেশের বাইরে ভারতের উচ্চ শিক্ষার সুযোগের পরিধি সম্পর্কে জানাবে। আমরা বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য যে সুবিধা প্রদান করি, প্রতিবেশী বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সেটি একটু বিশেষ হবে। ড. উত্তম বি সাপাতে বলেন, এখানে বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য দুই হাজারের বেশি শিক্ষাবৃত্তি রয়েছে। বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা অবশ্যই সে বৃত্তি পাবে। যোগ্য শিক্ষার্থীদেরকে স্টাডি ইন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে অবশ্যই সহযোগিতা করা হবে। ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালনের অধীনে ২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া স্টাডি ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচীটি বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদেরকে ভারতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে উৎসাহ প্রদান করে আসছে।
তিনি আরো জানান, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পাওয়া ভারতের উন্নয়নের অন্যতম ক্ষেত্র উচ্চ শিক্ষা আধুনিক পৃথিবীর পরিবর্তনের সঙ্গে এগিয়ে রাখছে শিক্ষার্থীদের। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৪৫ হাজার কলেজ এবং ৯৫০ টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উচ্চ শিক্ষা পদ্ধতির দেশ ভারত। এখন পর্যন্ত, দক্ষিন এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিন-পুর্ব এশিয়া, কেন্দ্রীয় এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের ১৫০ দেশের শিক্ষার্থীরা স্টাডি ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচীর আওতায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করেছে।
আয়োজকরা জানান, উচ্চ শিক্ষায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সনদ অর্জনে ভারতের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগে এই এডুকেশন মিট সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। প্রকৌশল, ব্যাবসায় প্রশাসন, উদীয়মান প্রযুক্তি, আইন এবং মানবিক অন্যান্য বিষয়ে দুই হাজার ৬‘শতরও বেশি কোর্সে শিক্ষাবৃত্তিসহ ডিপ্লোমা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ রয়েছে ভারতে।
স্টাডি ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচীতে যুক্ত একশোর অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট এন্ড অ্যাক্রিডিডেশন কাউন্সিল (এনএএসি) এবং ন্যাশনাল ইন্সটিউটশনাল রাংকিং ফ্রেমওয়ার্কের (এনআইআরএফ) মাধ্যমে ভারত সরকারের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।
ভারতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এক লক্ষ আসন রয়েছে যার মধ্যে মেধাবীরা দুই হাজারের বেশি শিক্ষাবৃত্তি এবং ৬০ হাজারের সুবিধা নিতে পারবেন টিউশন ফিতে। এখানে রয়েছে ২৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড়ের সুযোগ। সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা আরো বলেন, ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একজন বিদেশী ছাত্রের জন্য সর্বোচ্চ তিন হাজার ৫০০ ইউএস ডলার সমপরিমান বার্ষিক শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে, যার মধ্যে টিউশনফি, হোস্টেল এবং মেস ফি অন্তর্ভূক্ত।
