ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদ্্যাপনে বড় ধরনের পরিবর্তন

প্রকাশিত: ২২:১৪, ২৮ নভেম্বর ২০২০

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদ্্যাপনে বড় ধরনের পরিবর্তন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপনে আনা হয়েছে বড় রকমের পরিবর্তন। আর এই পরিবর্তনের পিছনে করোনা মহামারী। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদযাপনের কর্মসূচীতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এবারের ‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ১২ ডিসেম্বর দেশের জেলা-উপজেলা এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে দিবসটি ভার্চুয়ালি উদযাপিত হবে। শুক্রবার আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত কর্মসূচী তুলে ধরেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এমএন জিয়াউল আলম ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করা হয়। সেই থেকে টানা তৃতীয়বারের মতো ধারাবাহিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ। ডিজিটাল বাংলাদেশের ইশতেহারকে স্মরণীয় করে রাখতে গত তিন বছর ধরে প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালন করে আসছে আইসিটি ডিভিশন। সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী যখন রূপকল্প-২০২১’র মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা ঘোষণা করেন তখন বাংলাদেশে ছিল একটি নিম্নআয়ের দরিদ্র রাষ্ট্র। পার ক্যাপিটাল ইনকাম ৫০০ ডলারের নিচে ছিল। মাত্র ৫৬ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতো, মাত্র ৪৪ শতাংশ মানুষ ছিল বিদ্যুত সুবিধার আওতায়। সেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের, প্রযুক্তিনির্ভর, ডিজিটাল বাংলাদেশে উন্নীত করার রূপরেখা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেনি, ঠাট্টা তামাশা করেছেন। আজ ১২ বছরের মাথায় সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আজকে আর কোন রূপকথার গল্প নয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দিবসটি উপলক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১২ বছরের সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে টকশো প্রচার, দিবসটির লক্ষ্য-উদ্দেশ্য তুলে ধরে বাংলা ও ইংরেজীতে দুইটি ওয়েবিনার, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে কুইজ প্রতিযোগিতা, জেলা ও উপজেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক রচনা, উপস্থিত বক্তৃতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সভা সেমিনার, কর্মশালা, সচেতনতামূলক নাটিকা পরিবেশন, শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাদের পুরস্কার দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ১২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টায় আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। সকাল ১০টায় চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হবে। সরাসরি ও ভার্চুয়াল উভয় ধরনের আয়োজন থাকবে তাতে। বিকাল ৩টায় শুরু হবে ভার্চুয়াল জাতীয় সেমিনার। রাত ৮টায় একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হবে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ও কি-নোট স্পীকার হিসেবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে ৮ ডিসেম্বর রাত ৮টায় দেশব্যাপী অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের ২৭ নবেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে www.quiæ. digitalbangladesh. gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
×