ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় বাঁশের সাঁকো নড়বড়ে ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ৭ জানুয়ারি ২০২০

গাইবান্ধায় বাঁশের সাঁকো নড়বড়ে ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৬ জানুয়ারি ॥ সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কালিরবাজার সংলগ্ন মানস খালের উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোটির এখন নড়বড়ে অবস্থা। ওই সাঁকোর মাঝখানের কয়েকটি বাঁশের জাকলা ভেঙ্গে যাওয়ায় সেটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তারপরও ওর ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী যাতায়াত করছে। প্রধানের বাজার থেকে ঘাগোয়া ইউনিয়ন সদর রূপারবাজার হয়ে গাইবান্ধা জেলা সদর কিংবা গিদারী ইউপি সদর থেকে প্রধানের বাজার হয়ে কামারজানি বন্দর অথবা গুরুত্বপূর্ণ জনপদ কাউন্সিলের বাজার বোর্ড অফিস যেতে এ এলাকার মানুষের এই সাঁকোই একমাত্র ভরসা। এ সাঁকোর ওপর দিয়ে গিদারী ও ঘাগোয়া ইউনিয়নের প্রধানের বাজার, সোনালেরভিটা, খলিসার পডল, বারটিকবী, খরিয়ার চর, ঝাকুয়ারপাড়া, বালিয়ার ছড়া, রহমাননগরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ১০ গ্রামের প্রায় ১১ হাজার মানুষ ওই পথে গন্তব্যস্থলে যেতে এই সাঁকো দিয়েই আসা-যাওয়া করে। শুকনো মৌসুমে সাঁকোর নিচ দিয়ে যাতায়াত করা গেলেও বেশির ভাগ পথচারী ঝুঁকি সত্ত্বে সাঁকোর ওপর দিয়েই চলাচল করে। বর্ষাকালে এর বিকল্প কোন সুযোগ নেই। এলাকাবাসী জানায়, ১৯৮৮ সালের প্রলয়ঙ্কারী বন্যায় এই সাঁকোর জায়গায় রংপুর জেলাবোর্ড নির্মিত একটি সেতু বন্যার পানির তোড়ে বিধ্বস্ত হয়ে ভেসে যায়। সেই সেতুর অস্তিত্ব আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু এরপর ওই স্থানে আর কোন সেতু নির্মাণেরও উদ্যোগ নেয়া হয়নি। স্থানীয় জনগণের আবেদন নিবেদন কোন দফতরকেই নাড়া দিতে পারেনি। তাই স্থানীয় জনগণ নিজেরাই যাতায়াতের সুবিধার্থে ব্রিজের জায়গায় সাঁকো নির্মাণ করে। সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়লে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিজেরাই মেরামত বা পুনর্নির্মাণ করে রহমত আলী নামে ওই এলাকার এক কৃষক জানিয়েছেন। তবে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ ইদু মিয়া দাবি করেন ইউনিয়ন পরিষদ থেকেই ওই সাঁকো নির্মাণ করে দেয়া হয়। সাঁকো সংলগ্ন কালিরবাজারের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মিঠু মিয়া জানান, বিভিন্ন সময়ে প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধি এলে তাদের কাছে সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানাই আমরা। কিন্তু ৩২ বছরেই ওই সেতুটি পুনর্নির্মাণের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। গিদারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইদু বলেন, বিভিন্ন সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সদর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), এলজিইডির গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসনকে এলাকার জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি অবহিত করে সেতু নির্মাণের দাবি জানানো হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও এ সমস্যার সমাধান হয়নি। এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ মোল্লা জানান, সাঁকোর স্থলে ৪৫ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তবনা প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
×