ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

প্রকাশিত: ১১:০৫, ৩ অক্টোবর ২০১৯

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাচ, গান, আবৃত্তি আর পদক প্রদানের মধ্য দিয়ে ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী। রাজধানীর শাহাবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীকে ক্রান্তি পদক ও গণসঙ্গীত শিল্পী মাহমুদ সেলিমকে মাহাবুবুল হায়দার মোহন স্মৃতি পদক ২০১৯ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নিলুফার জাহান চিনু। অনুষ্ঠানের শুরুতে ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় ছিল দলীয় গান ‘আমরা এই বিশ্বের বুকে গড়ব রং মহল’। এরপর বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর হাতে ‘ক্রান্তি পদক ২০১৯’ তুলে দেন প্রধান অতিথি। পরে গণসঙ্গীত শিল্পী মাহমুদ সেলিমকে মাহাবুবুল হায়দার মোহন স্মৃতি পদক ২০১৯ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। অতিথিরা বলেন, শুধু দ্রোহ নয়, সমকালীন বিষয়কে ভাবনার বিবরে রেখেই সুন্দর আগামীর স্বপ্নে ক্রান্তির এই নিরন্তর পথচলা। মাতৃভূমির সঠিক মুক্তির আকাক্সক্ষার আকুল চিন্তা ও চৈতন্যকে সন্নিবেশিত করার মানসে যারা জীবনকে উৎসর্গ করার ব্রত নিয়ে পথ হাঁটেন তারা ক্রান্তির সাথীই নন, যেন একই মুক্তিকামী মানুষের সাহসী সতীর্থ। ভাবাবুলতাকে অতিক্রম করে কখনও কখনও তাকে পূর্ণাঙ্গ এড়িয়ে গণতান্ত্রিক সমাজ কাঠামো এবং সাম্যের পতাকাকে উড্ডীন রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ী মিছিলেই সংগঠনটির মূল শক্তি। এ কারণেই প্রতিবছর ক্রান্তি দেশের সেই সব স্বজনদের স্মরণ করে এবং সম্মান জানায় যারা ব্যক্তিগত প্রত্যাশা প্রাপ্তির উর্ধে উঠে নিজেদের সাহসী সৃজনকে উৎসর্গ করে দেশের শোষিত বঞ্চিত মানুষের বাসযোগ্য একটি জনভিত্তিময় সমাজ ও দেশের জন্য। যেখানে গণতন্ত্র, সাম্যবাদ আর তৃণমূল মানুষের সামগ্রিক মুক্তিই মুখ্য অন্য কিছু নয়। আলোচনার পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বে সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী। তারা ‘বাংলাদেশে শিখা অনির্বাণ’ ও ‘সখিনারে প্রাণের সখিনা’ শিরোনামের পরপর দুটি সঙ্গীত পরিবেশন করে। সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় ছিল পর পর দুটি দলীয় সঙ্গীত। গান দুটি হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ ও নজরুলের ‘একই বৃন্তে দুটি কুসুম’। ক্রিলোক বাচিক পাঠশালার পরিবেশনায় ছিল দলীয় আবৃত্তি। ‘আমার দেশ আমার স্বাধীনতা’ শিরোনামের এ দলীয় আবৃত্তিটি গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ছিলেন মাসুম আজিজুল বাশার। ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করে ‘তোলো তোলো আজ শুদ্ধ পতাকা’ গানটি। এছাড়া ‘নতুন দিনে নতুন ভোরে’ গানটির সঙ্গে ভিডিও প্রদর্শন হয়। এছাড়া সমবেত গণসঙ্গীত পরিবেশন করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। দলীয় আবৃত্তিতে অংশ নেয় মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। নৃত্য পরিবেশন করে নাট্যজনের শিল্পীরা। এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা আলমগীর।
×