ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

হাইকোর্টের রুল

ওসির বিরুদ্ধে এজাহার বদলে দেয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: ১১:০৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ওসির বিরুদ্ধে এজাহার বদলে দেয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ওসি শাকিল উদ্দিন আহমেদ বাপ্পির বিরুদ্ধে মামলার এজাহার বদলে দেয়ার অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে চীফ জুডিসিয়াল তদন্ত শেষ করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। একই সঙ্গে ওসি শাকিল উদ্দিন আহমেদ বাপ্পিকে কেন সাময়িক বরখাস্ত করা হবে না এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। অন্যদিকে চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের রুল নিষ্পত্তি করা হয়েছে। রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের পে কমিশন কর্তৃক বাতিলকৃত ২০০৯ সালের টাইম স্কেল ও সেলেকশন গ্রেড হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে পুনর্বহাল করা হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চগুলো এ আদেশ প্রদান করেছে। রাজশাহীর পুঠিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে মামলার এজাহার বদলে দেয়ার অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আবু বকর সিদ্দিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত। একটি জাতীয় দৈনিকে এজাহার বদলে দিলেন ওসি শীর্ষক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন নিহতের মেয়ে নিগার সুলতানা। ওই রিটের শুনানি শেষে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। গত ১১ জুন পুঠিয়ার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার একটি ইটভাটা থেকে পুঠিয়া উপজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ১৮ জুন জেলা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নুরুল ইসলামের সমকামিতার অভ্যাস ছিল। এলাকার এক কিশোরকে তিনি এ কাজে বাধ্য করতেন। ১০ জুন রাতেও নুরুল ইসলাম ওই কিশোরের সঙ্গে সমকামিতায় লিপ্ত হন। একপর্যায়ে ওই কিশোর তাকে ইটের আঘাতে হত্যা করে। তাই ওই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল ॥ চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের রুলটি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের পে কমিশন কর্তৃক বাতিলকৃত ২০০৯ সালের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে পুনর্বহাল করা হয়েছে। রায়টি তিনমাসের মধ্যে বাস্তবায়নের আদেশ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিচারপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সম্বন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেছেন। রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এ উচ্চতর স্কেল (টাইম স্কেল ) ও সিলেকশন গ্রেড স্কেলের প্রাপ্যতা । (১) জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর টাকা ৪১০০-৭৭৪০ (২০ গ্রেড) হতে টাকা ৮০০০-১৬৫৪০ (১০ গ্রেড ) বেতন স্কেল বিশিষ্ট পদের আওতাভুক্ত নন-গেজেটেড সরকারী কর্মচারীগণ একই অথবা সমপর্যায়ের পরস্পর বদলিযোগ্য পদে ৮, ১২ ও ১৫ বছর চাকরি পূর্তি এবং চাকরির সন্তোষজনক রেকর্ডের ভিত্তিতে ও এতদসংক্রান্ত প্রচলিত শর্তাদি পূরণ সাপেক্ষে যথাক্রমে ১, ও ২য় ও ৩য় পরবর্তী উচ্চতর বেতন স্কেলে স্কেল (টাইম স্কেল) হিসেবে গণ্য হবেন। সকল ২য় শ্রেণীর কর্মকর্তা চার বছর চাকরি পূর্তি সন্তোষজনক চাকরির রেকর্ড ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে এতদসংক্রান্ত প্রচলিত শর্তাদি পূরণ সাপেক্ষে পরবর্তী উচ্চতর স্কেলে ৫০ ভাগ সিলেকশন গ্রেড প্রদানের পরিবর্তে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ অনুয়ায়ী ১ জুলাই ২০০৯ থেকে ১০০ ভাগ সিলেকশন গ্রেড প্রদেয় হবে।
×