ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ বছরে দুই কোটি গ্রাহককে নতুন বিদ্যুত সংযোগ

প্রকাশিত: ০৯:২১, ৮ জুলাই ২০১৯

 পাঁচ বছরে দুই কোটি গ্রাহককে নতুন বিদ্যুত সংযোগ

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিগত পাঁচ বছরে ১ কোটি ৯০ লাখ গ্রাহককে নতুন বিদ্যুত সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুত খাতে নানামুখী পদক্ষেপের ফলে বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোঃ আফজাল হোসেনের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান বিদ্যুত ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তার অনুপস্থিতিতে সংসদে তার পক্ষে সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। মন্ত্রী জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারে নানামুখী পদক্ষেপে ২০০৯ সালের ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট ক্ষমতা হতে প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২১ হাজার ৬২৯ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। মন্ত্রী জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত মোট ১৩ হাজার ৫৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১৪টি বিদ্যুত কেন্দ্র চালু হয়েছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারত হতে বিদ্যুত আমদানির মাধ্যমে আরও ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। তিনি আরও জানান, বিদ্যুত খাতের উন্নয়নে সরকার তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফলে বিদ্যুত সুবিধাপ্রাপ্ত জনসংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৯৩ শতাংশে পৌঁছেছে। সরকারী দলের সদস্য মোঃ হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, আবাসিক গ্রাহকের বিদ্যুতের বিক্রয় মূল্যহার শিল্প গ্রাহকের মূল্যহারের চেয়ে দ্বিগুণ নয়। শিল্প গ্রাহকদের ফ্ল্যাট রেট ৮ টাকা ২০ পয়সা এবং পিক রেট ৯ টাকা ৮৪ পয়সা। অপরদিকে আবাসিক গ্রাহকের গড় বিদ্যুত বিক্রয় মূল্যহার ৫ টাকা ৭০ পয়সা। আবাসিক গ্রাহকের মধ্যে লাইফ লাইন স্লাব (০-৫০ ইউনিট) গ্রাহকের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ যার, রেট ৩ টাকা ৫০ পয়সা। নিম্নবিত্তদের জন্য এই কম মূল্যহার নির্ধারণ করা হয়েছে। সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের নবেম্বরে বাপেক্স কর্তৃক সর্বশেষ গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। সর্বশেষ ভোলা জেলায় ‘ভোলা নর্থ’ গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কৃত হয়েছে। উক্ত গ্যাস ক্ষেত্রের উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদের সম্ভাব্য পরিমাণ ৪২০ বিলিয়ন কিউবিক ফুট (বিসিএফ)। তিনি জানান, উক্ত গ্যাসক্ষেত্র হতে গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে একটি মূল্যায়ন কূপ খননের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া প্রসেস প্ল্যান্ট স্থাপন এবং পাইপ লাইন নির্মাণের বিষয়টি পরিকল্পনাধীন আছে।
×