ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

৩০ ফেসবুক ও টুইটার এ্যাকাউন্টে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

৩০ ফেসবুক ও টুইটার এ্যাকাউন্টে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ভুয়া সংবাদ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের দায়ে বন্ধ হওয়া ৩০ ফেসবুক এবং টুইটার এ্যাকাউন্টের সঙ্গে জড়িত সরকার সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। তাই অভিযুক্তদের অনতিবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার এবং এ বিষয়ে তদন্তের পুরো প্রতিবেদন জনগণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশের জোর দাবি ও একইসঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। একইসঙ্গে সংস্থাটি ভুয়া সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিলেও, এখন সরকার সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেই এমন অভিযোগ উঠায় কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় এমন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে ও সরকারের পক্ষে বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য সংবাদ প্রচার করে জনমানুষের চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টাসমূহকে অননুমোদিত ও অপব্যবহার উল্লেখ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক তদন্তের সঙ্গে জড়িতরা সরকারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে উল্লেখ করেছে এবং টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জড়িতদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছে। যা একদিকে অত্যন্ত বিব্রতকর ও নিন্দাজনক, অন্যদিকে বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ষড়যন্ত্রমূলক অপব্যবহারের নগ্ন দৃষ্টান্ত এবং সুস্থ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যমের বিকাশের জন্য অশনি সঙ্কেত। বাংলাদেশ কেন্দ্রিক মোট ৩০টি পেজ ও এ্যাকাউন্ট অপসারণের প্রেক্ষিতে ফেসবুক ও টুইটার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গত ২০ ডিসেম্বর দেয়া এক বিবৃতিতে এ অপকর্মে জড়িতদের সঙ্গে সরকার সংশ্লিষ্টদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ জানিয়েছে। বিবৃতিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ফেসবুকের বিবৃতিতে ভুয়া খবর প্রচারের মাধ্যমে এ ধরনের প্রচেষ্টাকে সমন্বিত অসত্য আচরণ (কো-অর্ডিনেটেড ইনঅথেনটিক বিহেইভিয়ার) এবং টুইটারে ভুয়া খবর প্রচারের মাধ্যমে এ ধরনের উদ্যোগকে ‘সমন্বিতভাবে প্রচার মাধ্যমের বিভ্রান্তিকর ব্যবহার (কো-অর্ডিনেটেড প্লাটফর্ম ম্যানিপুলেশন) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
×