স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে আনার সরকারী তৎপরতা খুবই বিপজ্জনক ও অশনিসঙ্কেত উল্লেখ করে বাম দলের নেতারা বলেছেন, কুৎসা, চাপ ও হুমকি দিয়ে প্রধান বিচারপতিকেই যেভাবে পদত্যাগে বাধ্য করানো হয়েছে তা বিচার বিভাগের অবশিষ্ট স্বাধীনতাকে ধ্বংস করবে। পাশাপাশি দেশে ফ্যাসিবাদের বিপদ বাড়িয়ে দেবে।
সকালে সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। তারা বলেন, বিচার বিভাগ নিয়ে সরকারের অশুভ তৎপরতা গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ তথা সরকারের অনুগত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়ে যাবারই এক স্বৈরতান্ত্রিক উদ্যোগ। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়কে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতিকে প্রথমে ছুটিতে যেতে ও তারপর তাকে যেভাবে পদত্যাগে বাধ্য করা হলো তা সরকারের চরম অসহিষ্ণু ও অগণতান্ত্রিক চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ বলেও উল্লেখ করেন তারা। নেতারা বলেন, ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্বেই রায় প্রকাশের পর থেকে সরকার ও সরকারী দলের নীতি-নির্ধারকরা শালিনতার সকল সীমা লঙ্ঘন করে যেভাবে প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে কুৎসা, চরিত্রহনন, কথিত মামলার প্রস্তুতি, চাপ ও হুমকি প্রদান করে এসেছেন তাতে দেশবাসীর কাছে এখন স্পষ্ট হয়েছে যে প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করানো হয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সভাপতিত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
২২ নবেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ॥ নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা ও দৈনন্দিন জীবনের নৈরাজ্য-সন্ত্রাস-সঙ্কটের প্রতিবাদে আগামী ২২ নবেম্বর ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।