স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিতর্কিত ১৮ হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনে অনিয়মের খবর প্রকাশের পর দুদক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে ১৮টি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদ আমলে নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করবে। অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুদক কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে দুটি এজেন্সি পরিদর্শনে গেলেও সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযুক্ত হজ এজেন্সিগুলোর নাম এখনই প্রকাশ করা হবে না।
উলেখ্য, সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার অব্যবস্থাপনা ও ত্রুটির কারণে প্রতি বছরই নানা বিড়ম্বনায় পড়েন দেশের হজযাত্রীরা। এবারও হজে যেতে পারছেন না ৩৯৭ জন। এছাড়া শুরু থেকেই ছিল ভিসা জটিলতা, মোয়াল্লেম ফি পরিশোধে দেরি এবং বাসা ভাড়ায় বিলম্বের মতো ভোগান্তি ও বিড়ম্বনা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির শিকার ৯৮ হজযাত্রী ১৮টি এজেন্সির বিররুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও হয়েছে। ১৮টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিমানকেও এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কমিটি আগামী হজ মৌসুমে এজেন্টগুলোর কাছ থেকে সম্পূর্ণ টাকা আদায় সাপেক্ষে বাংলাদেশ বিমানের টিকিট বুকিং কনফার্ম করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া এবারের হজ মৌসুমে অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী এজেন্সিগুলোকে জরিমানারও সুপারিশ করেছেন কমিটির সদস্যরা। অন্যদিকে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি হজযাত্রী পরিবহন ও ব্যবস্থাপনায় অনিয়মে জড়িত এজেন্সিগুলোকে চিহ্নিত করে লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: