ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

যৌথসভায় সৈয়দ আশরাফ

শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নন, গোটা বাঙালীর আশার প্রদীপ

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নন, গোটা বাঙালীর আশার প্রদীপ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেয়া গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে মনে রাখার মতো দৃষ্টান্ত বানাতে চায় আওয়ামী লীগ। জাতিসংঘ সাধারণ সম্মেলনে যোগদান শেষে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার দিন বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনায় মানুষের ঢল নামাতে চায় দলটি। ইতোমধ্যে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এমন সংবর্ধনা দেয়া হবে, যা হবে মনে রাখার মতো। কেননা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এখন এমন উচ্চতায় পৌঁছেছেন যে, তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নয় পুরো বাঙালী জাতির আশার প্রদীপ। বুধবার ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলের সকল সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতীম এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের শীর্ষ নেতাদের এক যৌথ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার দিন তাঁকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার রাস্তায় গণঅভ্যর্থনা জানাবে আওয়ামী লীগ। এটা সফল করতেই এ যৌথ সভার আয়োজন করা হয়। সৈয়দ আশরাফুল বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জীবনের মায়া ত্যাগ করে তিনি যেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আমরা তাঁকে ছোট্ট একটা ধন্যবাদ দেব। একমাত্র ভালবাসা আর শ্রদ্ধা জানানো ছাড়া তাঁকে দেয়ার মতো আওয়ামী পরিবারের আর কিছুই নেই। এ জন্য গণঅভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তাঁকে অভ্যর্থনা দেয়ার জন্য আমরা ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশাকরি বিপুল সংখ্যক লোক সমাগম করতে পারব। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিমানবন্দর থেকে মিছিলসহকারে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সরকারী বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সবাইকে নিয়ে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা কাউকেই বাদ দেব না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে আবেদন রাখব; যিনি (শেখ হাসিনা) জীবনের মায়া ত্যাগ করে দিনরাত পরিশ্রম করে জাতির কল্যাণের জন্য, তিনি যেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন- তাঁকে উষ্ণ সংবর্ধনা দিন। ‘প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সফলভাবে সফর শেষে দেশে ফিরে আসবেন’ দাবি করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘অনেকেই কিন্তু আমাকে বলেছে যে, এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে আসছেন। তাঁকে একটি গণঅভ্যর্থনা দেয়া হোক। আমাদের বিশ্বাস আমরা সেদিন একটি বিশাল শোডাউন করতে পারব। গণসংবর্ধনার কিছু পারিপার্শি¦ক সমস্যার কথা উল্লেখ করে এ ব্যাপারে তিনিসহ দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন সৈয়দ আশরাফ। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে যৌথ সভায় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আইনবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় নেতা এনামুল হক শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বেলাল হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী এনায়েত, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক লালন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফর করতে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুর, গাজীপুর মহানগর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ জেলা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট জেলার দলীয় সংসদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় এমপিদের সঙ্গে যৌথ সভা হবে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
×