জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরাম সোমবার রাত ২টা ৫ মিনিটে ব্যাঙ্ককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। তিনি বুয়েটের প্রথম নারী উপাচার্য। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি দুই মেয়ে, এক ছেলে, আত্মীয়স্বজন এবং বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ বিকেল চারটায় স্থাপত্য বিভাগের সামনে মরহুমার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে এবং বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বুয়েট মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুয়েটের উপাচার্য খালেদা একরামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি তার বিদ্রেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। পৃথক শোকবাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রফেসর খালেদা একরামের মৃত্যুতে জাতি এক বরেণ্য শিক্ষাবিদকে হারাল। প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত উপাচার্যের বিদ্রেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
খালেদা একরাম ১৯৭৪ সালে বুয়েট হতে স্থাপত্যে ডিগ্রী (বি অর্ক) এবং ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হনুলুলুর হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৭৭ সালে সহকারী অধ্যাপক, ১৯৮৬ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৯৫ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তিনি দীর্ঘ ৪২ বছরের অধিক সময় বুয়েটে শিক্ষকতা করেন। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি স্থাপত্য বিভাগের প্রধান, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদেও ডিন ও প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকা-ে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বুয়েটের উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন।
অধ্যাপক খালেদা একরাম হজকিনস লিমফোমা এবং শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে গত ১১ মে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ১৩ মে এয়ার এ্যাম্বুুলেন্সে করে তাকে ব্যাঙ্কক হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: