ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হাজিদের কোরবানির মাংস যে প্রক্রিয়ায় তিন কোটিরও বেশি মানুষের খাবারের সংস্থান করে

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ১০ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৯:০৬, ১০ জুন ২০২৫

হাজিদের কোরবানির মাংস যে প্রক্রিয়ায় তিন কোটিরও বেশি মানুষের খাবারের সংস্থান করে

ছবিঃ সংগৃহীত

হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পশু কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। প্রতি বছর ২০ লাখের বেশি মুসল্লি হজ পালন শেষে পশু কোরবানি দেন। এতো বিপুল সংখ্যক পশুর মাংস হাজিদের জন্য একা ভোগ করা সম্ভব নয়। বিদেশে পাঠানোর মতো আত্মীয়স্বজনও সেখানে সাধারণত থাকেন না। আশপাশে দুঃস্থ বা মিসকিন মানুষও খুব একটা নেই।

তাহলে এই প্রচুর মাংসের কী হয়?

একসময় হাজিরা কোরবানির মাংস রোদে শুকিয়ে দেশে নিয়ে যেতেন। কেউ আবার রাস্তায় ফেলে দিতেন, কেউবা প্রক্রিয়াজাত করা ঝামেলা এড়াতে তা মাটিতেই পুঁতে দিতেন। এতে শুধু মাংসের অপচয় হতো না, পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হতো।

এই সমস্যা সমাধানে ১৯৮৩ সালে সৌদি সরকার মক্কা, মিনা ও আশপাশের এলাকার পরিবেশ রক্ষায় কোরবানির মাংস কার্যকরভাবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়। এর মাধ্যমে কেবল পরিবেশই রক্ষা হয়নি, বরং মুসলিম বিশ্বের ২৭টি দেশের প্রায় ৩ কোটির বেশি দরিদ্র মানুষের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)। প্রকল্পটির নাম—ইউটিলাইজেশন অব দ্য স্যাক্রিফিসিয়াল অ্যানিম্যালস। হজের সময় কোরবানি দেওয়া লাখ লাখ ভেড়া, গরু ও উটের মাংস এখানে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। শুধু মাংস নয়, দিনে প্রায় ৫০০ টন বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম একটি প্ল্যান্টও গড়ে তোলা হয়েছে, যা সেগুলোকে সার হিসেবে রূপান্তর করে।

এই কোরবানির মাংস সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী বণ্টন করা হয়। ঈদুল আযহার প্রথম দিন থেকেই মসজিদুল হারামসংলগ্ন এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে এই মাংস বিতরণ শুরু হয়।

মুমু

×