ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাজিয়ে নিন

নিজেকে সাজিয়ে নিন

শিউলী আহমেদ

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ৭ জুলাই ২০২২

নিজেকে সাজিয়ে নিন

মহিমা খান

কোরবানি ঈদটাই এমন, মেয়েরা সারাদিন মাংস গোছানো আর রান্না-বান্নায় ব্যস্ত থাকে বলে সাজতে চায় না। বেলাশেষে ক্লান্ত শরীরে আর ইচ্ছেও করে না। কিন্তু যে রাধে, সে চুলও বাঁধে। তাই এলোমেলো না থেকে সকালের রান্না সংক্ষিপ্ত করে হালকা করে হলেও একটু সাজিয়ে নিন নিজেকে।
সকালের সাজ : যেহেতু গরম আবার বর্ষাকালও। তাই সবকিছু মাথায় রেখে উজ্জ্বল রঙের নরম সুতি কাপড়ের নতুন একটা জামা পড়ুন সকালবেলাটায়। মুখে হালকা একটু কমপ্যাক্ট পাউডার লাগিয়ে, চোখে কাজল এঁকে, ঠোঁটে হালকা একটু লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। চুল ছেড়ে রাখতে পারেন। অথবা পেছনে অল্প কটা চুল কাঁকড়া ব্যান্ড দিয়ে আটকে রাখতে পারেন। দেখুন নিজেকে কেমন স্লিম লাগছে! মনটাও প্রফুল্ল লাগবে, কাজ করতেও দেখবেন ফুরফরে লাগছে। মাংস এলে পরে হাতখোঁপা করে লেগে যান কাজে। নিজের কাছেও ভাললাগবে, প্রিয়জনের চোখেও স্বস্তি আসবে। ছেলেদেরও এই ঈদে একই অবস্থা। নামাজ পড়ে এসে কোরবানির পশু নিয়ে ব্যস্ততার কারণে তারাও থাকে এলোমেলো। তারা এ সময় হালকা সুতি কাপড়ের ফতুয়া বা গেঞ্জি, সঙ্গে লুঙ্গি বা ট্রাউজার পড়তে পারেন। এতে স্বস্তি পাবেন।
দুপুরের সাজ : যাদের মাংস নিয়ে কাজ নেই, তারা একটু ভারি করেই সেজে নিতে পারেন। বাইরে যাওয়ার ইচ্ছে হলে সিল্ক বা জর্জেট এর জামা পড়ে নিতে পারেন। ঈদের দিন তো কেউ ছাতা হাতে বের হবে না। তাই হঠাৎ বৃষ্টি এলে তা বাতাসে ঝটপট শুকিয়ে যাবে। আর বাসায় থাকলেও বড়দের কাজে সহযোগিতা করতে পারবেন।
বিকেলের সাজ : সমস্ত কাজ শেষে ঝটপট গোসল করে নিন। দেখবেন খুব ঝরঝরে লাগছে। একটুখানি রেস্ট নিয়ে নরম সুতি শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ পড়ে নিতে পারেন। আবার একটু হালকা করে সাজুন। ছেলেরা পাজামা-পাঞ্জাবি বা পাঞ্জাবির সঙ্গে প্যান্ট পরে বেড়িয়ে আসতে পারেন বন্ধুদের আড্ডায়।
সন্ধ্যা রাতের সাজ : যাদের কাজ আগে শেষ হয়ে যাবে তারা ঘুরে আসতে পারেন বাইরে থেকে। অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাসায়ও যেতে পারেন। এবার একটু শাড়ি পড়ুন। শাড়িতে প্রত্যেকটা মেয়েকে অনেক স্লিম আর মায়াবী লাগে। সাজুন মন ভরে। রাতের সাজটা একটু গাঢ় হলেই ভাললাগে। চুলে ফুল গুঁজে নিতে পারেন। দেখুন কেমন অনন্য লাগছে আপনাকে। মাংস কাটা শেষ হলে ঘরের মেয়েদের কাজে একটু সহযোগিতা করতে পারেন ছেলেরা। এতে মেয়েদের কাজ কিছুটা হলেও কমবে। কোরবানি ঈদে মেয়েদের থাকে অনেক ব্যস্ততা। সকালের জন্য মিষ্টি-পায়েস-পোলাও করা, মাংস এলে রান্না করা, নিজেদের অংশ গুছিয়ে রাখা, স্বজনদেরটা গুছিয়ে দেয়া- এসব মেয়েরাই বেশি করে। কাজ সহজ ও ঝটপট করার জন্য আগে থেকেই প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যেমন- মসলা রেডি করা, হাঁড়ি ধুয়ে পরিষ্কার করে সামনে রাখা, দা-বঁটি ধার করে রাখা, ঘরদোর সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা, বাড়তি প্লেট-বাটি-চামচ ধুয়ে সামনে রাখা – এগুলো গুছিয়ে রাখুন। সবাই মিলে হাতে হাতে কাজ করলে কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হবে, সবাই বেলাশেষে একটু সময়ও পাবে। এতে দেখবেন সারাটাদিন অনেক ব্যস্ততায় কাটলেও বেশ ফুরফুরে লাগবে। নিজেকেও সাজিয়ে নিতে পারবেন।

 

×