শীর্ষ কর্মকর্তার যৌন কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশের পর হাইতি সরকার দেশটিতে যুক্তরাজ্যের দাতব্য সংস্থা অক্সফামের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে। ২০১১ সালে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত হাইতিতে ত্রাণ কাজ পরিচালনার সময় অক্সফামের কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের ভাড়া করা ভবনে যৌনকর্মী নিয়ে আসাসহ আরও নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ দৈনিক টাইমস এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে অক্সফাম কর্তৃপক্ষের এ কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার তথ্যও বেরিয়ে আসে। খবর ওয়েবসাইট।
বৃহস্পতিবার হাইতির পরিকল্পনা ও বৈদেশিক সহযোগিতা বিষয়কমন্ত্রী এভিওল ফ্লুরান্ত বলেন, ২০১০-২০১১ সালে অক্সফাম গ্রেট ব্রিটেনের ‘গুরুতর পতনের’ কারণে হাইতিতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা দুই মাসের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তদন্তের জন্য এই দুই মাস সময় নেয়া হয়েছে। তদন্তে যদি হাইতিতে ত্রাণের নামে অক্সফাম যে অনুদান পেয়েছে তার সঙ্গে তাদের কর্মীরা যে অপরাধ করেছে তার যোগসূত্র পাওয়া যায় তবে আমরা ঘোষণা করছি অক্সফাম কর্মীদের হাইতিতে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে এবং অনতিবিলম্বে তাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে। অক্সফামের আইনজীবী এ্যালাইন লেমিথে হাইতি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী ও রাজনৈতিক’ বর্ণনা করে বলেন, তাদের হাতে অপরাধের সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণ নেই। এদিকে হাইতি যৌন কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশের পর দাতব্য সংস্থাটির শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তারা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি’দের জেরার মুখে পড়েছেন। মঙ্গলবার অক্সফামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক গোল্ড্রিং এবং ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ক্যারোলিন থমসনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন হাউস অব কমন্সের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন কমিটির আইন প্রণেতারা। যৌন কেলেঙ্কারির কারণে অক্সফাম হাইতি সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: