ভারতের বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন অরুণ মারওয়াকে (৫১) দিল্লী পুলিশ বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গোপন ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করেছেন। দিল্লীতে অবস্থিত বিমান বাহিনীর সদর দফতরে তিনি কর্মরত ছিলেন। খরব টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
বিমান বাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে ফেসবুকে ওই আইএসআই এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ হয় মারওয়ার। সেই এজেন্ট নিজেকে একজন নারী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। পরে মারওয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। শুধু তাই নয় হোয়াটসএ্যাপেও তাদের দুজনের মধ্যে নিয়মিত কথা হতো। এভাবে নিয়মিত কথা বলার মধ্যে দিয়েই মারওয়ার বিশ্বাস অর্জন করে তার ফেসবুক বন্ধু। পরে তাকে হানি-ট্র্যাপের লোভ দেখানো হয়।
তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, মারওয়ার কাছ থেকে সাইবার ওয়ারফেয়ার, স্পেস ও স্পেশাল অপারেশন সংক্রান্ত কিছু তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন ওই আইএসআই এজেন্ট। মারওয়ার সম্পর্কে কয়েক সপ্তাহ আগে সন্দেহ দেখা দেয়। বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তার নজরে বিষয়টি আসার পর শুরু হয় আন্তঃতদন্ত। পরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের মারাত্মক অভিযোগ উঠে আসে।
গত দশদিন ধরে বিমান বাহিনীর কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স উইং মারওয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তারপর তারা দিল্লী পুলিশের হাতে মামলাটি তুলে দেয়। তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিমান বাহিনীর প্রধান কার্যালয় থেকে মারওয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, মারওয়াকে যখন গ্রেফতার করা হয় সে সময় তার কাছে মোবাইল ফোন ছিল যা বিমান বাহিনীর কার্যালয়ে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মারওয়া আইএসআই পরিচালিত বড় ধরনের কোন ষড়যন্ত্রে জড়িত কিনা তা জানতে পুলিশের পাশাপাশি বিমান বাহিনীর কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স উইং তদন্ত চালাচ্ছে।