ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কিভাবে সন্তান বড় করবেন

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৬ জুলাই ২০১৬

কিভাবে সন্তান বড় করবেন

প্রত্যেকটি পিতামাতা চায় সন্তান যেন মানুষের মতো মানুষ হয়। সন্তানের কারনে পিতামাতা সুখী, আবার সন্তানের কারনে পিতা-মাতা দুঃখী। এমন কিছু সন্তান আছে যাদের কর্ম কান্ড, ব্যবহার আচার আচরনে বাবা মা শুধু কস্টই পান না। রীতিমত বিরক্তহন। অভিযোগ আসে স্কুল থেকে, পাড়া প্রতিবেশী থেক। সন্তানের কারনে মা-বাবার মুখ মলিন হয়ে যায়। ছোট হয়ে যায়। এমন অনেক বাবামাকে বলতেও শুনেছি ও মরে গেলেও বাঁচি-এমন একটি রোগের নাম কন্ডাক্ট ডিজ অডার। কন্ডাক্ট ডি-অর্ডার শিশু-কিশোরদের মন ও ব্রেনের অসুখ যা সাধারণত আচরনের ত্রুটি হিসাবে সবার কাছে পরিচিত। আবার অনেকে বলে অবাধ্য সন্তান। পরিসংখ্যান মত ৪% শিশু-কিশোরদের মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে প্রায়ই মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে ৪গুন বেশি। এই আচরণ ও ব্যবহারের সমস্যা সম্পর্কে আত্মীয়স্বজনদের ধারণা থাকে যে বয়স হলে এমননিতেই ঠিক হয়ে যাবে। আর চিকিৎসকদের পরিভাষায় এটি একটি রোগ। যা সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় চিকিৎসা করা প্রয়োজন। নতুবা এই শিশু-কিশোররা পরবর্তীতে পরিবারের ও সমাজের বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে পার। কেন এই আচরনে ত্রুটি তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয় বাবা-মার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঝগড়া বিবাদ, মারামারি, সংসার ভেঙ্গে যাওয়া, আলাদা জীবন-যাপন করা। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যদি ছোট বেলায় শিশুরা পিতামাতা থেকে দুরে যেমন হোস্টেলে বড় হয়, তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে। আর বিশেষ কারণ হিসাবে বংশগত ধারাবাহিকতা ও দীর্ঘদিন বাবা-মার মদ্যপানের অভ্যাস। আর বায়োলোজিক্যাল কারনের মধ্যে ব্রেনের বিভিন্ন বায়োকেমিক্যালের পরিবর্তন মৃগী রোগ ও মাথায় আঘাত উল্লেখযোগ্য। লক্ষণসমূহ: ১। বাবা-মাকে বিভিন্ন জিনিসের জন্য চাপ সৃষ্টি করা-যেমন সুমন ছেলেটি আগে বাবার কাছ থেকে ১০ টাকা পেলেই খুশি হতা তারপর ধীরে ধীরে ২০,৫০, ১০০ টাকা নিত এখন ৪০০ টাকা তাকে দিতে হাত খরচ বাবদ। না দিলে শুরু হয় জিনিস পত্র ভাংচুর ও বিভিন্নভাবে অত্যাচার। ২। প্রতিটি মায়েরও অভিযোগ থাকে ছেলেটা একদম কথা শোনে না, পড়তে বসে না, বই ছিড়ে ফেলে এমনকি শিক্ষককের কথাও শুনতে চায় না। ৩। এসব বাচ্চাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসে। ৪। এই বাচ্চারা কাউকে ভয় পায় না। ৫। কেউ কেউ বড়দের সাথে এমন সব কথা বলেও ব্যবহার করে যা সাধারণত অবাক করার মত। ৬। স্কুল ফাঁকি দেওয়া রীতিমত অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। স্কুলের কথা বলে ভিডিও গেম খেলা, সিনেমা দেখা ও বাইরে ঘুরে-বেড়ানো এদের অভ্যাস। ৭। ঘরের অন্য বাচ্চাদের সাথে দূব্যর্বহার, মারামারি, ঝগড়া এমনকি বাবা-মার সাথেও মারামারি করে ফেলে। ৮। ধীরে ধীরে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে থাকে মেযন-চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মিথ্যা কথা বলা, নেশা করা ইত্যাদি। ৯। মোট কথা এদের মধ্যে সুশৃঙ্খল জীবন-যাপন থাকে না। বাবা যদি ডানে যাও সে যাবে বামে। এই রকম আরও অনেক অসামাজিক কথা-বার্তা, আচার ব্যবহার, করে বেড়ায়। চিকিৎসা: দেখা গেছে এই সব শিশুদের সাইক্রিয়াট্রিস্টদের দ্বারা চিকিৎসা করলে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে সক্ষম হয় অতএব নিজে সচেতন হন এবং অন্যকে সচেতন করুন এবং এইসব শিশুদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসুন। আপনার ডাক্তার প্রতিবেদক
×