ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্র পৌঁছে গেছে 

জাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২০:৪৭, ৯ মে ২০২৪

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সর্বত্র পৌঁছে গেছে 

বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। দুর্গম চরাঞ্চলের জনগণও ল্যাপটপে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে। এর সুফল সর্বত্রই পৌঁছে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণেই এখন উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ।

বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য হয়েছে এবং আমাদের গড় আয়ু বেড়েছে।

নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, তোমাদের মতো এই মেধাবীদের দিকে জাতি তাকিয়ে আছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ, জাতির কাণ্ডারি। তোমরাই বাংলাদেশকে সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত তথা সব কিছুতে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করবে। দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে করে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা যথেষ্ট বেড়েছে। এবার মানসম্মত শিক্ষার দিকে মনোযোগী হওয়ার পালা।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর ‘এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিংয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেশে প্রথম স্থান লাভ করেছে। এছাড়াও বিশ্বসেরা দুই শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রবেশিকা বক্তা হিসেবে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য মানবিক মানুষ হয়ে ওঠার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আফসানা হকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার আবু হাসান ভর্তিকৃত নবীন শিক্ষার্থীদের পাঠ দানের জন্য ডিন এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের নিকট উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিন এবং পরিচালক পাঠ দানের জন্য শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন।

শহিদ

×