অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ স্বস্তি ফিরেছে খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় যশোরের রাজারহাট চামড়ার বাজারে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দরে বেচাকেনা হয়েছে প্রতি বর্গফুট চামড়া। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ট্যানারি সিন্ডিকেটের মনোপলি দাম নির্ধারণ রুখতে পারলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে পারবেন। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এ দাম আরও কয়েক হাট অব্যাহত থাকবে। ফলে লোকসানের শঙ্কা কেটে যাবে।
ঈদ পরবর্তী প্রথম হাটে চামড়ার দর নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ থাকলেও তৃতীয় হাটে তা অনেকটা কেটে গেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর চামড়ার হাটে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগসহ ফরিদপুর অঞ্চলের বড় বড় ব্যবসায়ীরা চামড়া বেচাকেনা করতে আসেন। বাইরের ব্যবসায়ীদের সরব উপস্থিতির কারণে নির্ধারিত দামের চেয়েও ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দরে বেচাকেনা হয়েছে প্রতি বর্গফুট চামড়া। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ধারণা, চামড়ার দাম আরও বাড়বে এবং তাদের লোকসানের শঙ্কা কেটে যাবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি চামড়া ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘যারা বিক্রি করছে তারা লাভবান হচ্ছে এবং দামও ভাল পাচ্ছে। যদি বড় চামড়া ১৬শ’ থেকে ১৮শ’ টাকায় বিক্রি হতো তাহলে আমরা বাঁচতাম।’ ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত তিনটি বাজারে বিক্রি করতে না পারলেও এ হাটে নগদ টাকায় চামড়া বিক্রি করতে পেরে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে। চামড়া ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘বেচাকেনা ভাল হচ্ছে। ট্যানারি মালিকরা কেনা শুরু করেছে।’