ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে

প্রকাশিত: ০২:৪৯, ১১ মার্চ ২০১৮

বিসমিল্লাহ গ্রুপের ঋণ জালিয়াতি হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিসমিল্লাহ গ্রুপের প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি, মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদুকের করা ১২ মামলায় মুল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এ মামলার আসামিদের কেউ কেউ এখনো ব্যাংকের চাকরিতে বহাল তরিয়তে রয়েছেন। আবার কেউ বা পদন্নোতিও পেয়েছেন। তবে বিগত ৫ বছরেও এ মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। বড় ঋণ জালিয়াতির হোতারা এখনো অধরা। সূত্র জানায়, বিসমিল্লাহ গ্রুপ জনতা ব্যাংক ভবন কর্পোরেট শাখা থেকে ফান্ডেড ৩০৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ও নন ফান্ডেড ২৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, মগবাজার শাখা থেকে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ ফান্ডেড ও নন ফান্ডেড এক কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং এলিফ্যান্ট রোড শাখা থেকে ফান্ডেড ১৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ফান্ডেড ২৬৫ কোটি ৪০ লাখ ও নন ফান্ডেড টাকা ৬১ কোটি ৮ লাখ, প্রিমিয়ার ব্যাংক মতিঝিল শাখা থেকে ফান্ডেড ২৩ কোটি ২২ লাখ ও নন ফান্ডেড ৩৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা শাখা থেকে ফান্ডেড ১০৮ কোটি ৪৪ লাখ ও নন ফান্ডেড ৪৬ কোটি দুই লাখ টাকা এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ইস্কাটন শাখা থেকে ৯৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা ফান্ডেড ও ১০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা নন ফান্ডেড হিসেবে অর্থ আÍসাৎ করে। ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বরে দায়ের করা এসব মামলায় আসামি করা হয় গ্রুপটির এমডি খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, চেয়ারম্যান নওরিন হাসিব, প্রাইম ব্যাংকের ডিএমডি মো. ইয়াছিন আলীসহ ৫৪ জনকে। এদের মধ্যে গ্রুপের এমডি, চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনকে সবকটি মামলার আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে অন্য ৪১ জন বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা। এরমধ্যে জনতা ব্যাংকের তিনটি শাখার ১২ জন, প্রাইম ব্যাংকের ৯ জন, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৭ জন, যমুনা ব্যাংকের ৫ জন এবং শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তা রয়েছেন।
×