ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ দিনেও কর অঞ্চলে মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ১ ডিসেম্বর ২০১৭

শেষ দিনেও কর অঞ্চলে মানুষের ঢল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আয়কর দিবসের শেষ দিনে যেন মানুষের মিলন মেলা প্রতিটি কর অঞ্চলে। ব্যক্তি শ্রেণীর আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন হওয়ার জন্য যারা ইতোপূর্বে রিটার্ন দাখিল করতে পারেনি তারা সবাই এদিন ছুটেছেন স্ব স্ব কর অঞ্চলে। সকাল থেকে দুপুর, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা এমনকি রাতেও মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কিছু কিছু কর অঞ্চলে জায়গার স্বল্পতার জন্য মানুষের সেবায় যেমন বিঘœ ঘটেছে তেমনি মানুষের মধ্যে উৎসাহও দেখা গেছে। ৩০ নবেম্বর সারাদেশে আয়কর দিবস পালিত হয়। এদিন কর অঞ্চলগুলোতে রিটার্ন দাখিল ও করসেবা নিতে সকাল থেকেই আসা শুরু করেন। এক সময় দীর্ঘ লাইনে থেকেও সেবা নেন। এদিকে জানা গেছে, শেষ দিনে রিটার্ন দাখিল ও আয়কর প্রদানের সুবিধার্থে যতক্ষণ পর্যন্ত করদাতা রিটার্ন দাখিল করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত কর অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। রিটার্ন দাখিল করার পর প্রাপ্তি রশিদ বুঝে পাওয়ার ক্ষেত্রে কোথাও একটু বিড়ম্বনায়ও পড়েছেন সেবাগ্রহিতারা। তবে সেটা সাময়িক বটে। রিটার্ন দাখিল করে ইনকাম ট্যাক্স পেতে ফর্ম পূরণ করে জমা দিতেও দেখা গেছে। কর অঞ্চল-১২ তে দেখা যায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কিছুটা বিড়ম্বনাও বটে। তবে কর কমিশনার শোয়েব আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের জায়গাটা একটু কম। আমাদের কর্মকর্তারা তবুও সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমরাও আরও ভাল সেবা দিতে চাই। মানুষকে হয়রানি নয় তাদের ভয় দূর করতে চাই। কর কমিশনার বলেন আমাদের যে পরিমাণ রিটার্ন দাখিল হয়েছে তা গত বছরের ইতোমধ্যেই তিনগুণ বেশি। তবে রিটার্ন দাখিল করে বেশ খুশি ইমরান হাসান। কর অঞ্চল-১৩ তে রিটার্ন দাখিল করে তিনি বলেন সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট লেগেছে আমার। আমি সেবায় বেশ খুশি। কর অঞ্চল-১৩ কমিশনার হাফিজ আহমেদ মোর্শেদ বলেন, আমরা জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিতেই চাই। মানুষ যাতে সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট হন। আমাদের প্রতিটি কর্মকর্তাই আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করেন বলেও জানান তিনি। কয়েকটি কর অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, করদাতারা বুথে জায়গা না পেয়ে নিচে বসে রিটার্ন পূরণ করছেন। তাতেও সন্তুষ্ট তারা। কর অঞ্চল-০৩ কর, কর অঞ্চল-০৫, অঞ্চল-১০ ঘুরে দেখা যায়, রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইএন বুথসহ সকল বুথে করদাতাদের ব্যাপক ভিড়। বিশেষ করে রিটার্ন পূরণে করদাতারা বেশি ব্যস্ত। আর প্রতিটি বুথে করসেবা দিতে ব্যস্ততার মধ্যেই সময় পার করছে কর্মকর্তারা। অন্যান্য কর অঞ্চল ঘুরেও জানা গেছে গত বছরের চেয়ে রিটার্ন সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কর কমিশনার, এনবিআর কর্মকর্তা ও এনবিআর সদস্যরা সেবা মনিটরিং করছেন। বুধবার পর্যন্ত রিটার্ন পড়েছে ১০ লাখ ৫৮ হাজার। যা গতবছরের একই সময়ের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। বৃহস্পতিবার আয়করের অনুষ্ঠানে এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হয়ে যাবে বলে আশা করেছেন এনবিআর কর্মকর্তারা। এদিকে রাজধানীর বাহিরেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানেও মানুষ উৎসবের মধ্যে দিয়ে রিটার্ন দাখিল করছেন। ভিড় রয়েছে কর অফিসগুলোতেও। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সেবার মন মানসিকতা পরিবর্তন এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্যই কর অঞ্চলগুলোতে এমন ভিড় দেখা যাচ্ছে।
×